হৃদয়ের অর্ধেক সমস্যা এ বার মিটল বলে!
অর্ধেক, কেন না, পেসমেকার হৃদযন্ত্রের অর্ধেক সমস্যার সমাধান করে! বাকি অর্ধেক সমস্যা রেখে দেয় ব্যাটারি নিয়ে! ওই ব্যাটারি বদলাতে গিয়েই খরচের ধাক্কায় বুকে হাত পড়ে বহু মানুষের!
সেই জন্যই এ বারে বাজারে আসতে চলেছে ব্যাটারিবিহীন পেসমেকার! ওয়াশিংটনের বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমিন কারামি উদ্যোগটা নিয়েছেন। ব্যাটারিবিহীন পেসমেকার বানানো এবং মানুষের বুকে বসিয়ে সেটা ঠিকঠাক চলছে কি না, সে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজও সারা!
কী ভাবে চলবে এই পেসমেকার?
বিশেষজ্ঞদের দাবি, হৃদযন্ত্রের সাহায্যেই চলবে এই পেসমেকার। অধ্যাপক কারামি বলেন, “পাইজোইলেকট্রিক পদ্ধতিতে হার্টবিটের শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে কাজ করবে এই যন্ত্র। মিনিটে ৭-৭০০ বিটের রেঞ্জে চলবে এটি।”
হঠাত্ কেন এ রকম পেসমেকার বানানোর চিন্তা মাথায় এল অধ্যাপক কারামির?
তাঁর মতে, প্রতি বছরই পেসমেকারের ব্যাটারি বদলাতে গিয়ে ভোগেন বহু মানুষ। ব্যাটারি বিগড়ে যাওয়ায় বাতিলও করতে হয় বহু পেসমেকার। তার জন্য খরচ হয় অনেক টাকা। পদ্ধতিটা জটিল তো বটেই, তার উপরে টাকা জোগাড় করতে না পেরেও মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান অনেকেই! ব্যাপারটা নাড়া দিয়েছিল কারামিকে! তার পর থেকেই তাঁর মাথায় ঘুরতে থাকে বিষয়টা! অবশেষে স্বয়ংক্রিয় যানবাহন এবং সেতু তৈরির সময় ‘পাইজোইলেকট্রিক’ পদ্ধতিতে কাজ করতে গিয়ে এই ব্যাটারিবিহীন পেসমেকার তৈরির কথা মাথায় আসে তাঁর। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। ব্যাটারিবিহীন পেসমেকার বানানোয় লেগে পড়েন কারামি!
এত কিছু ভালর মধ্যে খুঁতখুঁতুনির কথা কেবল একটাই— এই পেসমেকার হাতে পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও বছর দু’য়েক!
তাতে আর অসুবিধে কী! সবুরেই যে সমস্যা সাবাড় হয়, তা আর কে না জানে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy