বৃশ্চিক রাশি: এরা খাবারের ব্যাপারে অকারণ হৈচৈ পছন্দ করে না। এমনকি এরা কিছুই মনে করেন না যদি এদের অন্ধকার বা নিস্প্রভ, মলিন জায়গাতে নিয়ে গিয়ে খাওয়ানো হয়। এরা অতি সাধারণ খাবার খায় যেমন, সবজি ভাত তার সঙ্গে ডিমের কারি, কি একটু মাশরুমের ভেজিটেবিলের স্যুপ বা ঘুগনি পাউরুটি। এরা কিছুই মনে করে না, যদি অতি সাধারণ একই খাবার দিনের পর দিন খেতে হয়।
ধনু রাশি: এরা সেই সব মেনু বা ডিশ পছন্দ করে যার বাজারে বেশ হাঁক ডাক আছে। যেমন, বিরিয়ানি, চিকেন চাপ, কিমা, মসলা ধোসা, পোলাও, চাইনিজ, জাতীয় সব হাই সাউন্ডিং খাবার। অবশ্যই তার সঙ্গে রেস্তোরাঁর বেশ নাম ডাক থাকতে হবে। এদের আবার ডিনার শেষে নামকরা মিষ্টির দোকানের সন্দেশ বা মিষ্টি দই চাই।
মকর রাশি: এদের খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে খুশি করা বেশ কঠিন। ধরা যাক কোনও একটা রেস্তোরায় খাবারের অর্ডার দেওয়া হয়ে গিয়েছে। হঠাত্ মনে হল, সেই রেস্তোরাঁটার বেয়ারা ঠিক মতো এটিকেট জানে না বা খদ্দেরকে সে ভাবে সম্মান জানায় না। সঙ্গে সঙ্গে মত পাল্টে এরা দ্বিতীয় কোনও রেস্তোরাঁ বেছে নেবে। এরা যদি বোঝে, এরা যে স্বাদের মেনুটা খেতে চায় তা পাওয়া যায় ৬ কিলোমিটার দূরে কোনও এক রেস্তোরাঁয়, এরা সঙ্গে সঙ্গে সেই রেস্তোরার দিকে রওনা দেবে। ভুলেও এদের কোনও দামি, বিলাশবহুল হোটেল বা রেস্তোরাঁয় নিয়ে যাবেন না। কেন না খাওয়ার আগেই এরা খাবারের দামের সঙ্গে খাবারের গুণগত মান, মূল্য, সার্ভিস চার্জ-সহ সব কিছু তূল্যমূল্য বিচার শুরু করে দেবে।
কুম্ভ রাশি: এরা ডিনারকে শুধু খাবার হিসেবে দেখে না। এদের কাছে খাবার বা মিল বা মেনু হল একটা অভিজ্ঞতা, একটা ফিলিং। কার সঙ্গে খেতে যাব এদের কাছে সেটাও একটা ফ্যাক্টর। এরা ভয়ানক চুজি, অন্তত পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপারে। ডিনারের আগে বা পড়ে যে জিনিসটা যেমন ভাবে রাখা উচিত সেটা তেমন ভাবেই রাখতে হবে, যে ডিশটা যেমন ভাবে পরিবেশন করা উচিত সেটা তেমন ভাবেই করতে হবে। সাধারণ বাঙালী বাড়িতে খাবারের টেবিলে যেমন হয় প্রথমে প্লেট দিয়ে গেল, তারপর জল, তারপর নুন আর লেবু, তারপর রুটি বা ভাত, তারপর ডাল— এরপর যে ভাবে হয় কুম্ভের জাতক/জাতিকারা সেইরকম আশা করে। আর যে মেনু বা আইটেম যাই দেওয়া হোক না কেন সেটা যেন দামি ও নামকরা হয়।
মীন রাশি: এই রাশির জাতক/জাতিকারা ভীষণ মুডি। কী খাবে আর কী খাবে না সেটা নির্ভর করে খাওয়ার সময়ের মেজাজের উপর। যখন মনটা বেশ ভাল বা ফুরফুরে অবস্থায় থাকে, তখন যে কোনও ডিশ বা মেনু উপভোগ করে খায়। আর যখন অফ মুডে থাকে, তখন অনেক দামি ও সুস্বাদু খাবার অগ্রাহ্য করে। এদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সে রকম কোনও বাছ-বিচার নেই, সব ধরনের খাবারই খেয়ে থাকে, আবার মেজাজ খারাপ থাকলে সব খাবারকেই অগ্রাহ্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy