বাস্তুবিজ্ঞানে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ এই চার দিক এবং তার সহায়ক কোণগুলির বিশেষ গুরুত্ব আছে। আমাদের মুনি ঋষিরা আধুনিক বিজ্ঞান প্রসারের কয়েক হাজার বছর আগে সূর্যরশ্মির জীবনদায়ী তত্বগুলির খোঁজ পেয়েছিলেন। এ জন্যই তাঁরা বাসস্থানকে পূর্বমুখী করার বিধান দিয়েছিলেন। বাস্তুবিজ্ঞান অনুসারে মানব জীবনে আটটি দিকের অবশ্যম্ভাবী প্রভাব দেখে নেওয়া যাকঃ-
১। কোনও ভবন নির্মাণ করানোর সময় অতি অবশ্যই পূর্ব দিকটি খোলা ও ফাঁকা রাখতে হবে। পূর্ব দিকটি হল পৈতৃক স্থান। পূর্ব দিক খোলা না রাখলে পিতৃপক্ষের হানি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
২। আগ্নেয় দিক মানবজীবনের স্বাস্থ্য প্রদান করে।
৩। দক্ষিণ ধনধান্য, সমৃদ্ধি, প্রসন্নতা ও শান্তি দেয়।
৪। নৈঋত নিজের আচার বিচারের জন্য দায়ী হয়। নৈঋত কোনও রকমের গুরুতর দোষ রাখা অকালমৃত্যুকে আমন্ত্রণ জানানো সমান।
৫। পশ্চিম দিক সাফল্য, যশ ও ভদ্র ব্যবহার প্রদাণ করে।
৬। বায়ব্য দিক অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রিত করে। বন্ধুত্ব ও শত্রুতা উভয়ই এর মধ্যে আছে।
৭। উত্তর দিক হল মাতৃস্থান। বাড়িতে উত্তর দিকে ফাঁকা স্থান না ছাড়লে মাতৃপক্ষের হানির আশঙ্কা থাকে।
৮। ঈশানে কোনও প্রকারের দোষ, কাটছাঁট হওয়া উচিত নয়। ঈশান বংশবৃদ্ধিকে স্থায়িত্ব প্রদান করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy