বিহারের উপনির্বাচনের ফলাফলে উজ্জীবিত জেডিইউ শিবির এ বার দেশের অন্য প্রান্তেও সম-মনোভাবাপন্ন দলের সঙ্গে জোট গড়ে লড়তে চায়। আগামী দিনে তাই উত্তরপ্রদেশেও একই পথে এগোতে সওয়াল করলেন জেডিইউ নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ শরদ যাদব।
জেডিইউ নেতার বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে আশাতীত ভাল ফল করেছে বিজেপি। স্বাভাবিক ভাবে ২০১৭ সালে সে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া চেষ্টা চালাবে মোদী শিবির। আরজেডি, কংগ্রেস, জেডিইউয়ের ‘মহাজোট’ বিহারের ভোটে সাফল্য পেয়েছে। একই সমীকরণে উত্তরপ্রদেশেও বিজেপিকে রুখতে চায় জেডিইউ। সে জন্য ক্ষমতাসীন সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারা লড়তে চায়। পাশে পেতে চায় মুলায়ম সিংহ যাদব, অখিলেশ যাদবকে। শরদের কথায়, “বিহারের মানুষ এক জোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে আমরা সে ভাবেই এগোতে চাই। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধর্মনিরপেক্ষ দল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।” দলীয় সূত্রের খবর, লক্ষ্যপূরণে নিয়মিত ভাবে কংগ্রেস, বাম দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জেডিইউ।
আপাতত বিহারের ক্ষমতা ধরে রাখতেই বেশি আগ্রহী নীতীশ-শরদ। আগামী বছর সে রাজ্যেও বিধানসভা নির্বাচন। সদ্য শেষ হওয়া উপনির্বাচনের পর বিহারে বিজেপি-বিরোধী ভোটকে এক জোট করার প্রক্রিয়া যাতে ভেস্তে না-যায়, সে জন্যও তৎপর জেডিইউ। শরদের বক্তব্য “লোকসভা ভোটে দেশের ৩১ শতাংশ মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। ৭০ শতাংশ রয়েছে বিরোধীদের পক্ষেই। আমরা বিরোধী ভোটের অর্ধেকও এক জায়গায় করতে পারলে বিজেপি সমস্যায় পড়বে।”
বিহারে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়েন নীতীশ। পরিস্থিতি বদলাতে দু’দশকের শত্রু লালুপ্রসাদের সঙ্গে তিনি হাত মেলান। কাছে টেনে নেন এক সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসকেও। বিহারের ওই মহাজোটকে ‘সুবিধাবাদীদের জোট’ বলে চিহ্নিত করেছে বিজেপি। কিন্তু এক সময়ের রাজনৈতিক শত্রুর সঙ্গে জোট গঠনকে সময়োপচিত সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছেন শরদ। তাঁর কথায়, “এটা ভুললে চলবে না, লালু-নীতীশ কয়েক বছর আগেও অবিভক্ত জনতা দলের সদস্য ছিলেন।” কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর প্রশ্নে শরদের ব্যাখ্যা, “এক সময় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সব চেয়ে বেশি সরব ছিল জনতা দলই। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কংগ্রেস আর অচ্ছুৎ নয়। কারণ, যে ভাবে সঙ্ঘ পরিবার সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তা এক জোট হয়েই রুখতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy