ভোরে লাইনচ্যুত শিয়ালদহ -অজমেঢ় এক্সপ্রেস। ছবি: পিটিআই।
কানপুরের কাছে লাইনচ্যুত হল শিয়ালদহ-অজমেঢ় এক্সপ্রেসের ১৫টি কামরা। বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ কানপুর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে রুড়া স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বেসরকারি সূত্রের খবর, ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা অন্তত ৪৬। তবে রেল কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করেননি। উত্তর-মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বিজয় কুমার জানিয়েছেন, দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উদ্ধার কাজ জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে হাওড়া এবং নয়াদিল্লির মধ্যে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী এবং চিকিৎসকদের একটি দল। পৌঁছেছে ১৪টি অ্যাম্বুল্যান্স। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ শিয়ালদহ-অজমেঢ় এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি মঙ্গলবার ভোর ৫টায় শিয়ালদহ ছাড়ে। এদিন ভোর ৫টা ২০ মিনিটে লাইনচ্যুত হয় ১৩টি স্লিপার ও ২টি সাধারণ কামরা। ওই ট্রেনের যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও রেলের তরফে জানানো হয়েছে। ঘটনার দিকে ব্যক্তিগতভাবে নজর রাখছেন বলে টুইটারে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
চলছে উদ্ধার কাজ। ছবি: পিটিআই।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী ছিল কানপুর। গভীর রাতে পুখরায়ার কাছে লাইনচ্যুত হয় ইন্দওর থেকে পটনাগামী ১৯৩২১ রাজেন্দ্রনগর এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় ১৫০জনের। আহত হন দেড়শতাধিক যাত্রী। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কানপুরের কাছে ঘটল রেল দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন:কানপুর থেকে কটক, ২০১৬-র কয়েকটি ট্রেন দুর্ঘটনা
রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর টুইট। ছবি: টুইটার।
পূর্ব রেলের তরফে কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে।
রেলের তরফে কয়েকটি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy