ছবি সংগৃহীত।
এক দিকে প্রাক্তন স্ত্রী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে প্রতিশোধস্পৃহা, অন্য দিকে কোটি টাকা কামানোর হাতছানি। এই দুই রিপুর তাড়নাতেই খোদ তাওয়াং মঠের প্রধান লামার ঘরের দরজা ভেঙে লামার প্রাক্তন জামাই ও তার বর্তমান প্রেমিকা চুরি করে নিয়েছিল ৯০০ বছরের পুরনো তেরতন ‘পেমা লিংপা’র মূল্যবান ও পবিত্র মূর্তি। খবর চাপা থাকেনি। পবিত্র মূর্তি চুরির ফলে আশঙ্কা ও অসন্তোষ ছড়াচ্ছিল তাওয়াংবাসীর মনে। শেষ পর্যন্ত চুরির চার দিনের মধ্যেই বমাল দুই চোরকে ধরে ফেলল দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের ভুটানি নিংগমা শাখার পাঁচজন রত্নাকর রাজার মধ্যে প্রধান হলেন পেমা লিংপা। পদ্মসম্ভবের পরেই মর্য্যাদায় পেমা লিংপার স্থান বলে মানা হয়। তাওয়াং মঠের প্রধান সন্ন্যাসী বা চীপার ঘরেই সযত্নে রাখা থাকে দ্বাদশ শতকে তৈরি মূর্তিটি।
পুলিশ জানায়, ৩১ মে রাতে চিপার ঘর থেকে মূর্তিটি চুরি যায়। তার জেরে অশান্তি ছড়ায় তাওয়াং জেলায়। মন-পা উপজাতির কাছে ওই মূর্তির গুরুত্ব অপরিসীম। খবর দেওয়া হয় দেশের অন্যান্য রাজ্যের ক্রাইম ব্রাঞ্চে।
আরও পড়ুন: গাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ল পাগলা ঘোড়া
দিল্লি পুলিশ গত কাল খবর পায় 'মঞ্জু কা টিলা' এলাকায় এক তিব্বতি দম্পতী প্রাচীন মূর্তি বিক্রি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আজ সকালে ওই দম্পতিকে ফাঁদে ফেলে মঞ্জু কা টিলার গুরুদ্বারের কাছে টেনে আনা হয়। সেখানেই মূর্তি-সহ হাতেনাতে ধরা হয় গাওয়াং সুন্দুই ও তার প্রেমিকা লবসাং গাকেকে। উদ্ধার হয় মূর্তি। পুলিশের সঙ্গে থাকা প্রধান চীপার পুত্র মূর্তিটিকে চিহ্নিত করে।
দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (ক্রাইম) মধুর বর্মা জানান, জেরায় জানা গিয়েছে আদতে তিব্বতের বাসিন্দা গাওয়াং ২০০৯ সালে ভারতের ধর্মশালায় আসে। সেখানেই পরিচয় হয় তাওয়াংয়ের প্রধান লামার মেয়ের সঙ্গে। বিয়েও হয় দু'জনের। সেই সূত্রেই গাওয়াং জানতে পারে, শ্বশুরের ঘরে থাকা ছোট্ট সোনালী মূর্তিটি কত প্রাচীন ও মূল্যবান। দু'জনের বিয়ে টেঁকেনি। চীপার মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও মূর্তি হাতানোর জন্য তক্কে-তক্কে ছিল গাওয়াং। চীপার পরিবারের উপরে প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছেও ছিল তার মনে। বর্তমান প্রেমিকা গাকের সঙ্গে চুরির পরিকল্পনা ছকে সে। ১৫ দিন আগে তাওয়াং আসে তারা। ৩১ মে রাতে, প্রধান লামার ঘরের দরজা ভেঙে মূর্তি চুরি করে পালায় তারা। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় দেড় কোটি টাকায় মূর্তিটি হাতবদল করার কথা ছিল তাদের। তার আগেই পুলিশ তাদের ধরে ফেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy