Advertisement
০২ মে ২০২৪

৯৮-এ এমএ পটনার দাদু

১৯২০ সালে উত্তরপ্রদেশের বরেলীতে জন্ম। ১৫ বছর বয়সে বিয়ে। ১৯৩৮ সালে আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হওয়ার পরে আইন নিয়ে পড়াশোনা।

রাজকুমার বৈশ্য। —নিজস্ব চিত্র।

রাজকুমার বৈশ্য। —নিজস্ব চিত্র।

দিবাকর রায়
পটনা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৫৮
Share: Save:

এই বয়সে লোকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে। ঠিক সেই বয়সেই এমএ পাশ করে তাক লাগালেন ৯৮ বছরের রাজকুমার বৈশ্য। শত ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধের নামও উঠে গেল লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে। সদা হাস্যময়, টিভি সিরিয়ালের পোকা ‘বড়কা দাদু’ ২০১৬ সালে, ৯৬ বছর বয়সে পটনার নালন্দা মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে এমএ পাঠ্যক্রমে ভর্তি হন। দু’বছর পরে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। এখনও তাঁর ইচ্ছে পিএইচডি করার।

১৯২০ সালে উত্তরপ্রদেশের বরেলীতে জন্ম। ১৫ বছর বয়সে বিয়ে। ১৯৩৮ সালে আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হওয়ার পরে আইন নিয়ে পড়াশোনা। ১৯৪০ সালে আইনের ডিগ্রি পান। সে সময়ে কলকাতায় ছিলেন বেশ কিছুদিন। রাজকুমার বলেন, ‘‘গ্লোবে বন্ধুদের সঙ্গে প্রথম টকি সিনেমা দেখি, ‘আলমআরা’।’’ দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে মাইকা মাইনসে চাকরি নিয়ে অবিভক্ত বিহারের কোডারমায় চলে যান। পরে সেখান থেকেই জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে অবসর নেন।

তারপর থেকেই পড়াশোনা করার ঝোঁক তৈরি হয়। ইচ্ছে ছিল তখনই এমএ ডিগ্রি শেষ করার। কিন্তু ১৯৮৯ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী বড় ছেলের মৃত্যুতে তিনি ভেঙে পড়েন। এরপরে ২০০৩ সালে মৃত্যু হয় ৬৮ বছরের সঙ্গিনী, স্ত্রীর। তারপরে খবরের কাগজ আর টিভি সিরিয়াল দেখেই দিন কাটাচ্ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ডিগ্রি নেওয়ার সময়ে হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। তা প্রত্যাখ্যান করে নিজের ‘ওয়াকার’ ধরেই মঞ্চে উঠেছেন রাজকুমার। তাঁর হাতে ডিগ্রি তুলে দিয়ে মেঘালয়ের রাজ্যপাল গঙ্গাপ্রসাদ রাজকুমারবাবুকে বলেন, ‘‘আপনি জীবন্ত অনুপ্রেরণা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Masters Degree Nalanda University Old Man
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE