বিমানবন্দরের অভিবাসন কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে সুলতা সিংহ (নাম পরিবর্তিত)। পাসপোর্টে ঝাড়খণ্ডের ঠিকানা। যাবেন বাংলাদেশ। তাঁকে দেখে সন্দেহ হল অভিবাসন অফিসারের। কথা শুরু হতেই দেখা গেল হিন্দিতে সড়গড় নন সুলতা। কথায় ও-পার বাংলার টান স্পষ্ট।
সেই থেকে সুলতা জেলে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে মনোজ সিংহকে (নাম পরিবর্তিত) ভালোবেসে বিয়ে করে দু’জনে ঘর বেঁধেছিলেন ঝাড়খণ্ডের এক গ্রামে। কিন্তু আচমকাই স্বপ্নভঙ্গ! বাংলাদেশ থেকে বেআইনি ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসার অভিযোগে এ বার বিচার হবে সুলতা বেগমের। তাঁকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে বিচার হবে মনোজেরও। সুলতার বিরুদ্ধে যেমন বেআইনি ভাবে ভারতে ঢোকা ও তথ্য গোপন করে ভারতীয় পাসপোর্ট বানানোর অভিযোগ আছে, তেমনই ১৩ নম্বর ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী, বেআইনি ভাবে দেশে ঢুকে পড়া কাউকে (স্ত্রী-কে) আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মনোজের বিরুদ্ধে।
মনোজ-সুলতার ঘটনা অনেকটা সেই বীর প্রতাপ সিংহ আর জারা হায়াত খানের মতোই। সীমান্তের কাঁটাতার হার মেনেছিল তাঁদের ভালোবাসার কাছে। পাকিস্তানি জারাকে ফিরিয়ে আনতে ভারতীয় পাইলট বীর সে দেশে গিয়ে দীর্ঘ বছর জেলে কাটিয়েছিলেন। ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরে দেখেন, জারা বহু দিন আগেই ভারতে এসে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন।