প্রতীকী ছবি।
আধারের তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার গুরুতর অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বরকে যুক্ত করাটা আবশ্যিক বলেই শীর্ষ আদালতকে জানিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সুপ্রিম কোর্টে আজ সরকারের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি বলেন, ‘‘আয়কর আইনের ১৩৯এএ ধারায় প্যান কার্ড পাওয়ার জন্য আধার নম্বর এখন আবশ্যিক। এতে কেউ পরিচয় ভাঁড়াতে পারবে না। আর্থিক লেনদেনের মজবুত ব্যবস্থা গড়তে এটা জরুরি।’’
কিন্তু অনেকেই আপত্তি তুলছেন যে, এতে কে কী খাচ্ছেন, পরছেন কিনছেন— সব তথ্যই সরকারের হাতে চলে যাবে। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার খর্ব হবে। এই যুক্তি উড়িয়ে, রোহতগির মন্তব্য, ‘‘সমাজে থেকে কেউ চিহ্নিত না হওয়ার অধিকার দাবি করতে পারেন না। কোনও অধিকারই নিরঙ্কুশ নয়। এমনকী দেহের অধিকারও নয়। চরম পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার অধিকারও নিয়ে নেওয়া হয় বিশেষ প্রক্রিয়ার (বিচারের) মাধ্যমে।’’
যদিও এ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলছে সাইবার নজরদারি সংগঠনগুলি। তা হল, ব্যক্তির তথ্য কি সরকারি হাতে নিরাপদ? ‘সেন্টার ফর ইন্টারনেট অ্যান্ড সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠন গত কাল অভিযোগ তুলেছে, সরকারের চারটি ওয়েবসাইট থেকে অন্তত ১৩ কোটি আধার নম্বর ও ১০ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর যে কেউ পেয়ে যেতে পারেন। কারা সরকারের কাছ থেকে কী কী অনুদান ও কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন, সেই সব তথ্য যে কারও হাতে চলে যাচ্ছে, মূলত আধার সংক্রান্ত সরকারি ওয়েবসাইটে তথ্য নিরাপত্তার দিকে যথেষ্ট নজর না দেওয়ায়। বিষয়টি নিয়ে এর আগেও একাধিক বার বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সরকার বারবার আশ্বস্ত করলেও আধারকে সমস্ত আর্থিক লেনদেনের ভিত করে তোলার ব্যাপারে অনড়ই রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy