Advertisement
০১ মে ২০২৪

দিল্লিতে পাক দূত শরিফের ঘনিষ্ঠ মামুদ

পাকিস্তানি সেনা যখন ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাতের মাত্রা চড়াচ্ছে, তখন দিল্লিতে সে দেশের হাইকমিশনার হিসেবে যাঁকে বাছা হল তাঁর সঙ্গে সেনার সখ্যের কোনও পূর্ব ইতিহাস নেই।

সোহেল মামুদ

সোহেল মামুদ

অগ্নি রায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৭ ০৪:০০
Share: Save:

পাকিস্তানি সেনা যখন ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাতের মাত্রা চড়াচ্ছে, তখন দিল্লিতে সে দেশের হাইকমিশনার হিসেবে যাঁকে বাছা হল তাঁর সঙ্গে সেনার সখ্যের কোনও পূর্ব ইতিহাস নেই। বরং দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন হাইকমিশনার সোহেল মামুদের সঙ্গে পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব তথা নওয়াজ শরিফের যোগাযোগই সুপ্রতিষ্ঠিত।

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের মতে, পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ থেকে পাক সেনা, আইএসআই-এর সঙ্গে নওয়াজ সরকারের বর্তমান বিরোধও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত দু’বছরে ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্কে যে ধারাবাহিক অবনতি ঘটেছে তাতে ভারতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার আব্দুল বসিতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করে সাউথ ব্লক। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার ব্যাখ্যা, ‘‘এক জন রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা খুবই সীমিত। তাঁরা মূলত স্বদেশের নীতিকে অন্য রাষ্ট্রের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে হিসেব অন্য। কারণ দেশটার নাম পাকিস্তান। সে দেশের নেতৃত্বের মধ্যে বহু পরস্পরবিরোধী স্বার্থ ক্রিয়াশীল, সেখানে রাষ্ট্রদূতকেও কাজে লাগানো হয়।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বসিত ভারতে এসেছিলেন নওয়াজের প্রতিনিধি হিসেবেই। কিন্তু অচিরেই তিনি পাক সেনার হাতে তামাক খেতে শুরু করলেন।’’

আরও পড়ুন:সব কাশ্মীরি পাথর ছোড়েন না: মুফতি

সোহেলও দায়িত্ব নেওয়ার পরে সেনার চাপে বাধ্য হয়ে ভারত-বিরোধী উস্কানিমূলক কাজ শুরু করবেন কি না সে ব্যাপারে অবশ্যই নিঃসন্দেহ নন ভারতীয় কর্তারা। গোটা বিষয়টি নির্ভর করবে পাকিস্তানে নওয়াজের কর্তৃত্বের উপর। তবে কূটনীতিকদের মতে, বেআইনি সম্পত্তি সংক্রান্ত পানামা নথি ফাঁস হওয়ার পরে বিব্রত নওয়াজ সোহেল মামুদের মতো কূটনীতিককে ভারতে পাঠিয়ে পাক সেনাকে পাল্টা চাপ দিতে চাইছেন। কারণ, সোহেল কোনও ভারত-বিরোধী নীতি বাস্তবায়নের ধারেকাছেও ছিলেন না। এই কূটনীতিবিদ ভারত নিয়ে কোনও দৌত্যই করেননি। তিনি মূলত দু’টি ক্ষেত্রে দক্ষ বলে পরিচিত। এক, তিনি তুরস্ক বিশেষজ্ঞ। দ্বিতীয়ত, এই দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি কূটনৈতিক প্রথার বাইরে গিয়ে কোনও কাজ করেননি।

বসিত দায়িত্ব নেওয়ার পরে বলেন, ‘‘অনেক সময় নষ্ট হয়েছে দু’দেশের ঝগড়ায়। তাই দেরি না করে আলোচনা শুরু করতে হবে। দু’দেশের বাণিজ্য বাড়ানোর প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে।’’ সেই বসিতই কালক্রমে নওয়াজকে টপকে সেনার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। কিছুদিন পর ভারতের অনুমতি ছাড়াই হুরিয়তের সঙ্গে কথা বলে দু’দেশের আলোচনা শুরুর চেষ্টায় জল ঢেলে দেন। মামুদ কোন পথে হাঁটেন সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE