পাকিস্তান থেকে ফেরার পর প্রথমবার বিমান ওড়ালেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। পাঠানকোট থেকে মিগ-২১ নিয়ে ওড়েন তিনি। উইং কমান্ডারের সঙ্গে ছিলেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া। প্রায় ৩০ মিনিট আকাশে ছিলেন তাঁরা। পাকিস্তান থেকে ফেরার ছ’মাসের মধ্যেই ফের নিজের কাজে ফিরে গেলেন তিনি।
পুলওয়ামায় হামলার পর চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জঙ্গি শিবির ধ্বংস করতে অভিযান চালায় ভারত। পরের দিন ভারতে আক্রমণ করতে আসে পাক বায়ুসেনার এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। তৈরি ছিল ভারতীয় বিমান বাহিনীও। তাদের তাড়া করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৭-৮ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে পড়ে উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের মিগ-২১ বাইসন। পাক বিমানের গুলিতে তাঁর বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেখানেই বিমান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। পাকিস্তানি সেনার হাতে ধার পড়ে যান তিনি। বন্দি অবস্থায় তাঁর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ পায়। সেখানে পাকিস্তানি সেনার ডেরাতে বসে চাপের মুখেও কোনও তথ্য তিনি দেননি। তাঁর সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে যায় গোটা দেশ। শেষপর্যন্ত চাপের মুখে অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। বীর চক্র সম্মান দেওয়া হয় অভিনন্দন বর্তমানকে।
এদিন তিনি যাঁর সঙ্গে আকাশে ওড়েন, সেই বিএস ধানোয়া ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে অংশ নেন।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি স্কোয়াড্রনকে নেতৃত্ব দেন তিনি। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার মিগ নিয়ে ওড়েন এয়ার চিফ মার্শাল। মঙ্গলবার অভিনন্দন ও ধানোয়া দুজনে পাঠানকোট বিমান ঘাঁটি থেকে একটি প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ে ওড়েন। এয়ার চিফ মার্শাল সামনের আসনে বসেন। পিছনের আসনে বসেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। ধানোয়া জানিয়েছেন, ১৯৮৮ সালে তাঁকেও একবার বিমান থেকে ইজেক্ট করতে হয়। কিন্তু সেবার কাজে ফিরতে তাঁর প্রায় ৯ মাস লেগিল গিয়েছিল। সেখানে অভিনন্দন মাত্র ৬ মাসেই নিজেকে উড়ানের জন্য ফিট করে ফেললেন।