মধ্যপ্রদেশের ছবিটাও মোটামুটি একই। দিনের বেলা তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকছে। সঙ্গে তীব্র জল সঙ্কট। মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। শুধু মানুষই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন্যপ্রাণও। মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসে পুঞ্জাপুরা জঙ্গলে পাওয়া গিয়েছে ১৫টি হনুমানের দেহ। প্রচণ্ড গরমে জলের অভাবে হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে বন আধিকারিকদের অনেকের মত।
নাসা এবং জার্মানির অ্যারো স্পেস সেন্টারের এক যৌথ সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ভূগর্ভস্থ জল হ্রাসের অন্যতম কারণ কৃষিক্ষেত্র এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে জলের যথেচ্ছ ব্যবহার। ভারতের মতো কৃষিপ্রধান দেশে ধান এবং গম চাষে যে পরিমাণ ভূগর্ভস্থ জল খরচ হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সেই পরিমাণ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জল-সমস্যা বেড়েই চলেছে।
ভূগর্ভস্থ জল হ্রাসের আরেক কারণ ব্যাপক হারে বৃক্ষছেদন। চেন্নাইয়ের অলাভজনক সংস্থা 'কেয়ার আর্থ ট্রাস্ট' এর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ব্যাপক হারে শিল্পায়ন এবং শহরায়নের ফলে চেন্নাইয়ের বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করার একমাত্র প্রাকৃতিক জলাভূমি পাল্লিকারানাইয়ের আয়তন বর্তমানে ৫৯৩ হেক্টরে এসে দাঁড়িয়েছে যা ১৯০০ সালে ছিল ৬০০০ হেক্টরের কাছাকাছি।
২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'জল ধরো জল ভরো' নামে যে কর্মসূচি গ্রহণ করেন, তার মূল বক্তব্য ছিল— যে কোনও উপায়ে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও তার ব্যবহার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য অনুযায়ী এই প্রকল্পে প্রায় ১ লক্ষ ২ হাজার পুকুর খনন করা হয়েছে। এর জন্য প্রতিটি ব্লকে নির্ধারিত টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে তা কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিরোধীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy