পিএনএস- সাড। পুলওয়ামা-বালাকোট পর্বে এই পাক ডুবোজাহাজটি দিল্লিকে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল বলে দাবি ভারতীয় নৌসেনা সূত্রের।
পুলওয়ামা হামলার পরে সেনা ও বায়ুসেনার মতো জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ করেছিল নৌসেনাও। যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য-সহ ৬০টি যুদ্ধজাহাজকে উত্তর আরব সাগরে মোতায়েন করা হয়। পাকিস্তানি জলসীমার কাছে সক্রিয় হয় পরমাণু অস্ত্রবাহী ডুবোজাহাজ আইএনএস চক্র। ভারতীয় নৌসেনা সূত্রের মতে, এতে ঘাবড়ে যায় পাকিস্তান। পুলওয়ামা হামলার জবাব দিতে ভারত নৌসেনাকে ব্যবহার করতে পারে বলে মনে করেছিলেন ইসলামাবাদের কর্তারা। নৌসেনা সূত্রের দাবি, এই সময়ে পাকিস্তানি জলসীমার ভিতর থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় সে দেশের নৌসেনার ডুবোজাহাজ পিএনএস-সাড। এক নৌসেনা কর্তার কথায়, ‘‘অগুস্তা শ্রেণির ওই ডুবোজাহাজে এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালসন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। তাই অন্য ডুবোজাহাজের তুলনায় অনেক বেশি সময় জলের নীচে থাকতে পারে সাড।’’ নৌসেনার গোয়েন্দারা জানান, করাচির কাছে যে এলাকা থেকে সাড উধাও হয়েছে সেখান থেকে সেটি তিন দিনে গুজরাত উপকূলে পৌঁছতে পারে। পাঁচ দিনের মধ্যে পৌঁছতে পারে ভারতীয় নৌসেনার ওয়েস্টার্ন ফ্লিটের সদর দফতর মুম্বইয়ে। ফলে ওই সময়সীমার মধ্যে পিএনএস-সাড যে সব এলাকায় গিয়ে থাকতে পারে সেখানে তল্লাশি শুরু করে নৌসেনা।
নৌসেনা কর্তারা জানাচ্ছেন, গুজরাত, মহারাষ্ট্র-সহ কয়েকটি রাজ্যের উপকূলে নজরদারি চালাতে শুরু করে নজরদারি বিমান পি-৮আই। ভারতীয় ডুবোজাহাজ আইএনএস চক্রও তল্লাশিতে সামিল হয়। ২১ দিন পরে পাকিস্তানের পশ্চিম দিকে খোঁজ মেলে পিএনএস-সাডের। নৌসেনা কর্তাদের মতে, বালাকোট অভিযানের পরে পরিস্থিতি তেমন কঠিন হয়ে দাঁড়ালে ব্যবহারের জন্য পাক নৌসেনা ডুবোজাহাজটিকে ওই এলাকায় লুকিয়ে রেখেছিল। নৌসেনা কর্তাদের দাবি, প্রথম থেকেই পাক জলসীমার কাছে ভারত এত বেশি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছিল যে পাক নৌসেনার বড় অংশ বালুচিস্তানের কাছে মাকরান উপকূল ছেড়ে নড়তেই পারেনি।