Advertisement
০২ মে ২০২৪
police

পুলিশ হয়ে সোনার চেন খুঁজে দিতে পারেননি, অবসরের দিনে নিজের টাকায় উপহার বৃদ্ধাকে

প্রায় চার বছর আগে ওট্টাপাল্লাম থানায় অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন ওই মহিলা। জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওট্টাপাল্লাম তালুকের এক হাসপাতালে এক্স-রে করাতে গিয়েছিলেন।

image of gifting chain

যে থানায় অভিযোগ করেছিলেন মহিলা, সেই থানার পুলিশ কর্মীরাই টাকা তুলে অভিযোগকারীকে কিনে দিলেন চেন। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
কোচি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৩০
Share: Save:

সোনার হার হারিয়ে ছিলেন এক প্রবীণা। থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন। তবে পুলিশ খুঁজে দিতে পারেনি সেই হার। ধরতে পারেনি অপরাধীকে। হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন ওই মহিলা। শেষ পর্যন্ত এ ভাবে যে ‘হারানো হার’ প্রাপ্তি ঘটবে, ভাবতেও পারেননি। যে থানায় অভিযোগ করেছিলেন, সেই থানার পুলিশ কর্মীরাই টাকা তুলে অভিযোগকারিণীকে কিনে দিলেন হার। কেরলের পলক্কড় জেলার ঘটনা।

প্রায় চার বছর আগে ওট্টাপাল্লাম থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। তিনি পাজ়ামবালাক্কোড়ের বাসিন্দা। জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওট্টাপাল্লাম তালুকের এক হাসপাতালে এক্স-রে করাতে গিয়েছিলেন। এক্স-রের সময় তাঁকে হার খুলতে বলা হয়েছিল। সোনার হার খুলে নিজের হাতব্যাগে রেখেছিলেন। এক্স-রে শেষ হওয়ার পর সেই হাতব্যাগ আর পাননি। অনেক খুঁজেছিলেন। কিন্তু হাতব্যাগ কোথায় রেখেছিলেন, আর মনে করতে পারেননি।

ওই গরিব মহিলা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ মামলা দায়ের করতে পারেননি, কারণ ওই তিনি জানাতে পারেননি ঠিক কোথায়, কী ভাবে তিনি হার হারিয়েছিলেন। শুধু জানিয়েছিলেন, বিয়ের সময় তাঁর স্বামী হারটি উপহার দিয়েছিলেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছিল পুলিশ। হাসপাতালের কর্মী, অন্য রোগীদের জেরা করেছিল। কিন্তু কেউই প্রবীণার হাতব্যাগের বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারেননি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও কোনও তথ্য পায়নি পুলিশ। তার পর থেকে মাঝেমধ্যেই থানায় এসে হারের খোঁজ করতেন মহিলা।

২০২০ সালে ওই থানায় যোগ দেন সিনিয়র ইনস্পেক্টর গোবিন্দপ্রসাদ। তিনি এই তদন্তভার হাতে নেন। তাতেও লাভ হয়নি। হারটি যে চুরি হয়েছিল, তার প্রমাণ পায়নি পুলিশ। গত ৩১ মার্চ ফের থানায় গিয়েছিলেন মহিলা নিজের হারের খোঁজে। সে দিন গোবিন্দপ্রসাদের চাকরির শেষ দিল ছিল। গোবিন্দপ্রসাদ বলেন, ‘‘আমি মহিলাকে দেখে খুব দুঃখ পাই। সার্কল ইনস্পেক্টর সুজিতকে বলি। ওই মহিলাকে হার কিনে দেওয়া যায় কি না, জানতে চাই। এর পর থানার কর্মীরা মিলে টাকা জোগাড় করে ওই মহিলাকে হার কিনে দিই।’’ চাকরির শেষ দিনে ওই মহিলাকে কিছু দিতে পেরে দারুণ খুশি এসআই। তিনি বলেন, ‘‘কর্মজীবনের সব থেকে আনন্দের দিন। ওই মহিলাও দারুণ খুশি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

police Kerala woman Chain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE