প্রতীকি ছবি
বুলন্দশহরে গাড়ি থামিয়ে গণধর্ষণ ও ডাকাতির ধাক্কা এখনও সামলাতে পারেনি অখিলেশ যাদব সরকার। তার আগেই ফের বাস লুঠ। সেই ৯১ নম্বর জাতীয় সড়কেই!
একের পর এক ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে চাপে অখিলেশ সরকার। এক দিকে অস্ত্র শানাচ্ছেন বিরোধীরা। অন্য দিকে আজ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল রাম নাইক। ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্র। শুক্রবার রাতে বুলন্দশহরে ৯১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে গাড়ি থামিয়ে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। ৩৫ বছরের এক মহিলা ও তাঁর ১৪ বছরের মেয়েকে তিন ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ করে তারা। আজ ওই জাতীয় সড়কের উপরেই সিকান্দ্রাউ এলাকায় একটি বাস লুঠ করেছে এক দল ডাকাত। বাসটি দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশের ওরাই এলাকায় যাচ্ছিল। কয়েক জন ডাকাত যাত্রী সেজে বাসে ওঠে। বাস সিকান্দ্রাউ পৌঁছতেই তারা অস্ত্র বের করে। ওই এলাকায় লুকিয়ে থাকা বাকি ডাকাতরা বাস ঘিরে ফেলে। যাত্রীদের জিনিসপত্র লুঠ করে চম্পট দেয় তারা। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুলন্দশহরের ঘটনার পরে বিরোধীদের হইচইয়ের জেরে পাঁচ পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে অখিলেশ সরকার। জাতীয় সড়কে পুলিশি টহলদারি বাড়ানো হয়েছে বলে প্রশাসন জানালেও এ দিনের ঘটনার পরে সেই দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
আজ লোকসভায় জিরো আওয়ারে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সরব হন বুলন্দশহরের বিজেপি সাংসদ ভোলা সিংহ। তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্য সরকারই অপরাধীদের আশ্রয় দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’’ নরেন্দ্র মোদীর ইস্তফা চেয়ে সমাজবাদী সাংসদরা পাল্টা স্লোগান দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু বিধানসভা ভোটের আগে দল যে বেকায়দায় পড়েছে তা ঘরোয়া আলোচনায় মানছেন সমাজবাদী নেতারা। বিএসপি নেত্রী মায়াবতী বলেন, ‘‘সমাজবাদী পার্টির সরকারের প্রধান কি ওই মহিলাদের সম্মান ফিরিয়ে দিতে পারবেন? না পারলে তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত।’’
এ দিন রাজ্যপাল রাম নাইক বলেন, ‘‘রাজ্যে এমন ঘটনা বার বার ঘটছে। রাজ্য সরকারের উচিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করা।’’ জাতীয় মহিলা কমিশনের দাবি, ধর্ষণের পরে নির্যাতিতা কিশোরীকে পরীক্ষা করার সময়ে তার সঙ্গে অশোভন ব্যবহার করেছেন এক চিকিৎসক। তাঁকে সমন পাঠিয়েছে কমিশন।
কমিশনের আরও দাবি, গণধর্ষণের শিকার মা-মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাদের প্রতিনিধিরা। কিন্তু সেই খবর শুনেই নির্যাতিতাদের নয়ডা থেকে বুলন্দশহরে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। মা-মেয়ের দেখা পেতে কমিশনের সদস্যদের আইনি পদক্ষেপের হুমকি দিতে হয়। নির্যাতিতাদের মধ্যে এক কিশোরী থাকা সত্ত্বেও পুলিশ শিশু যৌন হেনস্থা প্রতিরোধ আইনে মামলা করেনি।
আক্রান্ত পরিবারের এক সদস্যের কথায়, ‘‘ধর্ষকদের ফাঁসি হলে মানবাধিকারের কথা ওঠে। তাহলে আমাদেরও বদলা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy