বেহাল সড়ক মেরামতির দাবিতে করিমগঞ্জের ৭টি জায়গায় ধর্নায় বসবে বিজেপি। আগামী কাল দু’ঘন্টা ধরে ওই অবস্থান চলবে। বিজেপি আগে ওই সড়কে অবরোধের পরিকল্পনা করলেও, জনসাধারণের দুর্ভোগের দিকে তাকিয়ে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়।
বদরপুর, ভাঙ্গা, নিলামবাজার, পাথারকান্দি, লোয়াইরপোয়া, রাতাবাড়ি ছাড়াও জেলা সদরে হবে ধর্না। বিজেপির বক্তব্য, এ বারই প্রথম জেলার সাতটি জায়গায় এক সঙ্গে জাতীয় এবং পূর্ত সড়কে ধর্নায় বসা হবে।
দলীয় সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘করিমগঞ্জ জেলার প্রায় সব পূর্ত ও জাতীয় সড়ক বেহাল। এই জেলায় শাসক দলের পাঁচ বিধায়ক থাকার পরও উন্নয়ন কিছুই হয়নি। অথচ ওই বিধায়করা করিমগঞ্জের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে প্রচার চালাচ্ছেন।’’
বিজেপির অভিযোগ, চক্রান্ত করেই ৮ নম্বর জাতীয় সড়ক বিআরটিএফের কাছ থেকে পূর্ত (এনএইচ) বিভাগের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখন জাতীয় সড়ক মেরামতির নামে কংগ্রেস বিধায়করা ঠিকাদারদের কাছ থেকে ‘কাটমানি’র আশায় ফের ছক কষছেন। বদরপুরের বিধায়ক জামালউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, ২০০ কোটি টাকার কাজ এক সঙ্গে করার মতো সামর্থ্য অসমের কোনও ঠিকাদারের নেই। তাই ওই টাকা ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে জাতীয় সড়ক মেরামতির টেন্ডার আহ্বান করা হোক। বিজেপির বক্তব্য, এটিও চক্রান্ত।
বিশ্বরূপবাবু বলেন, ‘‘ছোট ছোট ভাহে টেন্ডার ডাকা হলে কাজের গুণগত মান ভাল হবে না। বদরপুরের কংগ্রেস বিধায়ক নিজের স্বার্থরক্ষা করতেই এমন প্রস্তাব দিয়েছেন।’’ তাঁর বক্তব্য, জাতীয় সড়ক বিআরটিএফ-এর নিয়ন্ত্রণ থেকে সরানোর জন্যই সেখানে মেরামতি হচ্ছে না।
বিজেপির অভিযোগ একেবারেই মানতে নারাজ বদরপুরের বিধায়ক জামালউদ্দিন আহমেদ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অনেক দিন ধরে ওই রাস্তা মেরামতির জন্য টেন্ডার ডাকা হচ্ছিল। কিন্তু কোনও ঠিকাদার এগিয়ে আসছিলেন না। সে জন্যই ছোট ছোট ভাগে টেন্ডার বিভক্ত করার কথা বলেছিলাম। এর পিছনে অন্য কোনও অভিসন্ধি আমার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy