কংগ্রেস সভাপতি পদে রাহুল গাঁধীর অভিষেক যে এখনই হচ্ছে না, সে ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন দলের নেতারা। অথচ এ বছরের ডিসেম্বরে দলের সভানেত্রী পদের মেয়াদ ফুরোচ্ছে সনিয়া গাঁধীর! সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে এই সাংবিধানিক সংকট মেটাতে মঙ্গলবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকলেন সনিয়া। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে সভানেত্রী পদে সনিয়া গাঁধীর মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হতে পারে।
যদিও ঘটনা পরম্পরা এ রকম হওয়ার কথা ছিল না। বরং দলের মধ্যে আলোচনায় এক রকম ঠিক হয়েই গিয়েছিল যে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু প্রায় দু’মাস ছুটি কাটিয়ে আসার পর রাহুল যখন রাজ্য সফর শুরু করেন, তখন দলের মধ্যে মত বদলাতে শুরু করে। দশ নম্বর জনপথের ঘনিষ্ঠরা রাহুলকে পরামর্শ দেন— জমি অধ্যাদেশের বিরোধিতায় তাঁর আন্দোলনে যে রকম সাড়া পড়েছে, তাতে সভাপতি পদে নির্বাচনটা এখন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। এখন সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামালে একাগ্রতা নষ্ট হবে। তা ছাড়া জাতীয় স্তরে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে সনিয়া গাঁধীর উপস্থিতি জরুরি। এই সব ভাবনা-চিন্তার পরেই জুলাই মাসের সাংগঠনিক নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়।
কংগ্রেস সূত্র জানাচ্ছে— আপাতত ঠিক হয়েছে, দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে কংগ্রেস সভানেত্রী পদে সনিয়ার মেয়াদ এক বছরের জন্য বাড়ানো হবে। ১৯৯৮ সালের ১৪ মার্চ কংগ্রেস সভানেত্রী পদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সনিয়া। আগে কংগ্রেস সভাপতি পদের মেয়াদ ছিল তিন বছরের। সনিয়া চার বার মেয়াদ পূর্ণ করার পর ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেসের অধিবেশন ডেকে দলের সংবিধান সংশোধন করা হয়। তাতে সভানেত্রী পদের মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। সেই অনুযায়ী ডিসেম্বরে কংগ্রেস সভানেত্রী পদে সনিয়ার পঞ্চম মেয়াদ (টানা ১৭ বছর) শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তা আরও এক বছর বাড়ানো হবে। তবে ফের কংগ্রেসের সংবিধান সংশোধন করে সভাপতি পদের মেয়াদ কমিয়ে তিন বছর করা হচ্ছে। তা ছাড়া কংগ্রেসে দ্বৈত সদস্যপদের ব্যবস্থাও চালু করা হবে। অর্থাৎ মহিলা কংগ্রেস, দলের শ্রমিক সংগঠন, ছাত্র সংগঠনের সদস্যরাও সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সদস্য পদ পাবেন। একই সঙ্গে দলের সংগঠনে মহিলা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য ৫০ শতাংশ পদ সংরক্ষিতও করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy