মায়াবতীর জন্মদিনের উৎসবে যোগ দিচ্ছেন এসপি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদব।—ছবি পিটিআই
আগামী ১৫ তারিখ নয়াদিল্লিতে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্মদিনের উৎসবে যোগ দিচ্ছেন এসপি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদব। উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে এই উপস্থিতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
বিজেপিকে রাজ্য-ছাড়া করতে উত্তরপ্রদেশে যুযুধান এই দুই পক্ষ এ বার পরস্পরের হাত ধরার তোড়জোড় করছেন। মায়াবতীর জন্মদিনের উৎসবটিতে তারই ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রথম মায়াবতীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন মুলায়ম সিংহ যাদব পরিবারের কেউ। এসপি সূত্রের খবর, মুলায়ম–পুত্র অর্থাৎ ‘টিপু’ যাতে উপস্থিত থাকেন তার জন্য ‘বুয়া’ আগেই আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছেন।
জোট গঠনের প্রশ্নে মায়া বরাবরই কড়া দর কষাকষিতে বিশ্বাস করেন। তাঁর রাজনীতির মধ্যে যে ‘অনিশ্চয়তা ফ্যাক্টর’ রয়েছে তার মোকাবিলা করার জন্যও প্রস্তুত অখিলেশ। এসপি সূত্রের মতে, অখিলেশের সিদ্ধান্ত— মায়াবতী যাতে কোনও ভাবেই জোট থেকে বেরিয়ে বিজেপির বন্ধনীতে না যান সে জন্য সব রকম চেষ্টা করা হবে।
উত্তরপ্রদেশের লোকসভা ভোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সম্প্রতি একটা প্রাথমিক নকশা তৈরি করেছে এসপি। সূত্রের বক্তব্য, সেই নকশা অনুযায়ী এসপি ৩৫টি, বিএসপি ৩৫টি, অজিত সিংহের আরএলডি ৩টি এবং কংগ্রেসের জন্য ৭টি আসন ছেড়ে রাখার কথা ভাবা হয়েছে। কংগ্রেসের জন্য ভাবা হয়েছে— রায়বরেলী, অমেঠি, সুলতানপুর, কানপুর, সাহারানপুর, মেরঠ এবং বারাণসী। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে এসপি ও বিএসপি নেতৃত্ব বসে দু’দলে ৩৭টি করে আসনে লড়ার একটা প্রাথমিক নকশা তৈরি করেছে। তা হলে কংগ্রেস ও আরএলডি-র জন্য ৬টি আসন পড়ে থাকে।
এসপি সূত্র জানাচ্ছে, গোটা বিষয়টি নিয়ে ১৫ জানুয়ারি এবং তার পরেও কথা চলবে মায়াবতীর সঙ্গে। বিএসপি সূত্রের খবর, মায়াবতী যতটা সম্ভব বেশি আসন চাইবেন। কংগ্রেসকে ৭টি আসন ছেড়ে দিতেও চাইছেন না। বিএসপি সূত্রের বক্তব্য, ‘‘উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের কোনও জায়গা নেই। কেন আমরা তাদের আসন ছাড়ব? মধ্যপ্রদেশে তো ওদের শক্তি বেশি ছিল, ওরা কি আমাদের সঙ্গে সমঝোতা করেছে? বরং যখন প্রয়োজন হয়েছে আমরা সমর্থন দিয়েছি। কংগ্রেস তো কর্নাটক মডেলে আমাদের কোনও বিধায়ককে মন্ত্রী করতে পারত! তা তো করেনি।’’
এসপি সূত্রে অবশ্য জানানো হচ্ছে— দরকষাকষি করবেন ঠিকই, কিন্তু আসন সমঝোতায় রাজি না হয়ে উপায়ও নেই মায়াবতীরও। দলের এক শীর্ষ পর্যায়ের নেতার কথায়, ‘‘মায়াবতী জোট না করে একা লড়লে একটি আসনেও জিততে পারবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে এই বার্তাই যাবে, কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থে তিনি জোট না গড়ে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে চাইছেন।’’ ওই সূত্রের ব্যাখ্যা— তাঁর দলিত ভোট ব্যাঙ্কই শুধু নয়, দেশের প্রান্তিক মানুষ এই মুহূর্তে মোদী সরকারের উপর প্রবল ক্ষুব্ধ। ফলে তাঁকে জিততে হলে শেষ পর্যন্ত এসপি-র সঙ্গে জোট করতেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy