কেন জনস্টন
রাজ্যে আমন্ত্রণ জানিয়েও নাসার অ্যাপোলো-১১ মিশনে জড়িত কেন জনস্টনকে অসম্মান করে রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অসম সরকারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিযোগপত্র পাঠিয়ে অসম সরকারের দোষী কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেছেন জনস্টন। নাসার সঙ্গে কেনের বিরোধের কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কে এই কেন জনস্টন?
‘সিভিলিয়ান অ্যাস্ট্রোনট’ ও ‘কনসালট্যান্ট পাইলট’। অ্যাপোলো-১১ মিশনে নীল আর্মস্ট্রংদের প্রশিক্ষণে জড়িত ছিলেন তিনি। কেনের দাবি, চাঁদে তোলা ছবিতে কিছু কাঠামো ও ইউএফও দেখেছিলেন তিনি। সেগুলি মুছে ফেলা হয়। নাসার কর্তারা ওই ছবিগুলি নষ্ট করে ফেলারও নির্দেশ দেন। এমন অভিযোগ তোলার পরে নাসার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এখন তিক্ত।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উপলক্ষে অসম সরকার তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তিনি অসমে আসার আগেই নাসার প্রেস উপদেষ্টা জেমস উবার্গ অসম সরকারকে চিঠিতে জানান, জনস্টন আদৌ নাসার বিজ্ঞানী বা মহাকাশচারী নন, ‘সিভিলিয়ান অ্যাস্ট্রোনট’ ও ‘কনসালট্যান্ট পাইলট’ মাত্র। আগে ছিলেন মার্কিন মেরিন বাহিনীর ক্যাডেট। অ্যাপোলো অভিযানে সামান্য ভূমিকা ছিল তাঁর। নাসার দাবি, জনস্টন সম্প্রতি যে দাবিগুলি করেছেন তা-ও ঠিক নয়।
জনস্টনের বক্তব্য, নিজের কাজের পর্যাপ্ত প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। তবু নাসার তরফে ওই মেল পাওয়ার পরেই অসম সরকারের এক মহিলা-কর্তা তাঁকে উপযুক্ত মর্যাদা বা বয়সের সম্মানটুকু না দিয়ে দিল্লি পাঠিয়ে দেন। ফেরার টিকিটও তাঁকেই কাটতে হয়। জনস্টনের খেদ, ‘জানতাম ভারতে অতিথিকে দেবতা মনে করা হয়। সেখানে আমন্ত্রিত অতিথির এমন অসম্মান ও প্রতারণা ভাবতে পারছি না।’ অসম সরকার বলেছে, তিনি নিজের সম্পর্কে যা প্রচার করেছিলেন, নাসার দাবি তা মিথ্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy