Advertisement
১৭ মে ২০২৪

আঁতাঁত গড়েছে বিজেপি-আজমল: সিদ্দেক

গত কালই করিমগঞ্জের বিধায়ক তথা গগৈ মন্ত্রিসভার সদস্য সিদ্দেক আহমেদের বিরুদ্ধে ৯৯ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন এআইইউডিএফ প্রধান তথা ধুবুরির সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল। তাঁর অভিযোগ, বড়োভূমির সংঘর্ষে অস্ত্র সরবরাহ করা নিয়ে তাঁকে দায়ী করেছিলেন সিদ্দেক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:১২
Share: Save:

গত কালই করিমগঞ্জের বিধায়ক তথা গগৈ মন্ত্রিসভার সদস্য সিদ্দেক আহমেদের বিরুদ্ধে ৯৯ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন এআইইউডিএফ প্রধান তথা ধুবুরির সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল। তাঁর অভিযোগ, বড়োভূমির সংঘর্ষে অস্ত্র সরবরাহ করা নিয়ে তাঁকে দায়ী করেছিলেন সিদ্দেক। এ বার বদরুদ্দিন আজমলের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা ঠুকলেন সিদ্দেক। তিনি আজ বলেন, ‘‘আজমল অস্ত্র সরবরাহ করেছেন এমন কথা তিনি মোটেই বলেননি।’’

আর সেখানেই থামেননি সিদ্দেক। আজমলের ‘কাছের মানুষ’ হিসেবে পরিচিত এই কংগ্রেস নেতা আরও দাবি করেন, ‘‘আজমল বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থে আজমল বিজেপিকে তোষণ করার নীতি নিয়েছেন। বিজেপির কথা মতোই প্রার্থী দিয়েছেন তিনি।’’ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে তার জন্য আজমলই দায়ী থাকবেন বলে সিদ্দেক জানিয়েছেন। আজমলকে ‘ব্ল্যাকমেলার’ আখ্যা দিয়েছেন
তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আজমলের বিরুদ্ধে তিনি ১০০ কোটি টাকার মামলা ঠুকেছেন।’’

আজমল ভোটের আগে বরাবরই সিদ্দেকের প্রশংসা করে এসেছেন। বলেছেন, ‘‘বরাকে এআইইউডিএফের স্বার্থ সুরক্ষায় সচেষ্ট সিদ্দেক।’’ সিদ্দেকও ভোটের আগে কংগ্রেস ও এআইইউডিএফের জোট গড়ার
বিস্তর চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু সফল হননি।

কংগ্রেসের নেতাদের একাংশের অভিযোগ, সুগন্ধী ব্যবসার হাত ধরে ও আজমল ফাউন্ডেশন চালানোর জন্য বিদেশ থেকে আজমলের কাছে মোটা টাকা আসে। টাকার বড় অংশই লেনদেন হয় হাওয়ালার মাধ্যমে। সেই টাকার সরবরাহ অটুট রাখতে ও ব্যবসার জন্য আজমল বিজেপিকে হাতে রাখতে চান। তাঁর সঙ্গে বরাবরই হিমন্তবিশ্ব শর্মার সুসম্পর্ক। বিধানসভার ফলে কোনও একটি দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার আশা কম। সে ক্ষেত্রে হিমন্তবিশ্ব শর্মা ও আজমল হাত মেলাতে পারেন। বিজেপি-বিপিএফ-এআইইউডিএফ জোট সরকার গড়ার চেষ্টা করতে পারে। কংগ্রেসের এক নেতা আরও দাবি করেন, হিমন্ত ও আজমলের মধ্যে গোপন বোঝাপড়া আছে। সর্বানন্দ সোনোয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী না করার শর্ত দিয়ে বিজেপি জোটকে সমর্থন দেবেন আজমল। সেই সুযোগে হিমন্তর সামনে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত হতে পারে।

অবশ্য হিমন্ত নিজে এই সম্ভাবনা উড়িয়ে জানান, তাঁর ও আজমলের গোপন আঁতাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এআইইউডিএফের তরফেও বলা হয় বিজেপির
সঙ্গে হাত মিলিয়ে মোটেই সরকার গড়বে না তারা। আজমল বলেন, ‘‘ভোটের এক সপ্তাহ আগে পর্যন্তও আমি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার চেষ্টা করেছি। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তা সম্ভব হয়নি। ভোটের পরে আমরাই ‘কিং-মেকার’ হব। তবে সে ক্ষেত্রেও আমরা অসাম্প্রদায়িক দলকেই সমর্থন জানাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

siddique ahmed BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE