Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Priest

পুরোহিতের স্বপ্নপূরণ! পুণ্যার্থীদের দানের টাকায় কিনলেন একলাখি স্কুটার, দাম মেটালেন খুচরো পয়সায়

নোটে নয়, দানের সেই খুচরো পয়সা নিয়েই হাজির হয়েছিলেন স্বপ্ন কিনতে। শোরুমে গিয়ে সেই খুচরো পয়সা তুলে দেন ম্যানেজারের হাতে।

স্কুটির শোরুমে পুরোহিত মুরলীধর। ছবি: সংগৃহীত।

স্কুটির শোরুমে পুরোহিত মুরলীধর। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩১
Share: Save:

মন্দির দর্শনে যাঁরা আসতেন তাঁকে এক টাকা, দু’টাকা হাতে দিয়ে যেতেন। সেই টাকা তিনি জমাতে শুরু করেছিলেন। পুণ্যার্থীদের দেওয়া সেই টাকা তিন বছর ধরে সঞ্চয় করেছিলেন। লক্ষ্য ছিল একটাই— একটা স্কুটি কিনতে হবে। আর সেই স্বপ্নপূরণ করতে লক্ষ্যপূরণে অটল ছিলেন পুরোহিত। তিন বছর পর স্বপ্নপূরণ হল তাঁর।

নোটে নয়, দানের সেই খুচরো পয়সা নিয়েই হাজির হয়েছিলেন স্বপ্ন কিনতে। শোরুমে গিয়ে সেই খুচরো পয়সা তুলে দেন ম্যানেজারের হাতে। এত খুচরো পয়সা দেখে হতবাক হয়ে যান শোরুমের ম্যানেজার। নিজের পছন্দের স্কুটিটি দেখিয়ে ম্যানেজারকে পুরোহিত জানান, এটি চাই তাঁর। খুচরো পয়সায় স্কুটির দাম নিতে প্রথমে একটু ইতস্তত করলেও পুরোহিতের স্বপ্নপূরণে বাধা হতে চাননি ম্যানেজার। শেষমেশ কর্মীদের ডেকে সেই খুচরো পয়সা গোনা শুরু করেন।

বেশ কয়েকটি থলিতে ভরে ১, ২ এবং ৫ টাকার কয়েন নিয়ে স্কুটির শোরুমে হাজির হয়েছিলেন মুরলীধর আচারিউলু। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার কালভৈরব স্বামী মন্দিরের পুরোহিত। পৌরোহিত্য করেই তিনি সংসার চালান। ফলে স্কুটি কেনার সাধ থাকলেও সাধ্য ছিল না। কিন্তু সাধ যখন হয়েইছে, পূরণ তো করতেই হবে। তাই শুরু হল পয়সা জমানো। মন্দিরে যে সব দর্শনার্থীরা আসতেন পুজোর পর পুরোহিত মুরলীধরের হাতে কেউ ১, কেউ ২, কেউ বা ৫ টাকা ধরিয়ে দিতেন। তিন বছর ধরে সেই টাকা সঞ্চয় করেন তিনি। অবশেষে স্বপ্নপূরণ হল তাঁর। মুরলীধর বলেন, “মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জমিয়েছি। পুরো টাকাটাই দানের।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Priest Scooty Andhra Pradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE