দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি অণ্ণা হজারে। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
সরকারি হস্তক্ষেপে সাত দিনের মাথায় অনশন তুলে নিলেন অন্না হজারে। বুধবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। খুব শীঘ্রই লোকপাল নিয়োগের কাজ শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। এই আশ্বাস পেয়েই অনশন তুলে নেন অন্না।
অনশন তুলে নেওয়ার পর দেবেন্দ্রর সঙ্গেই সাংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন অন্না। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে খুশি আমি। মহারাষ্ট্র সরকার আমার দাবি মেনে নিয়েছে। তাই ৭ দিনের মাথায় অনশন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
সাত দিনের অনশন চলার পর মঙ্গলবার বিজেপি তথা কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে অণ্ণার সঙ্গে দেখা করেন ফডনবীস। তিনি লোকপাল নিয়োগের আশ্বাস দিলে অবস্থান নমনীয় করে অনশন তুলে নেন অণ্ণা। দেবেন্দ্র বলেন, ‘‘আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি লোকপাল সন্ধান কমিটির বৈঠক হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো লোকপাল নিয়োগ প্রক্রিয়া এগোবে। একটি যৌথ কমিটিও গড়া হয়েছে। সেই কমিটি নয়া বিল প্রস্তুত করবে। পরবর্তী অধিবেশনে সেটি পেশ করা হবে।’’
আরও পড়ুন: ৮ ফেব্রুয়ারি শিলংয়ে হাজির হতে পারেন, সিবিআইকে চিঠি রাজীব কুমারের
আরও পড়ুন: রাজীবের মুখোমুখি হওয়ার আগে দেবযানীকে জেরা করতে চায় সিবিআই
লোকপাল নিয়োগের দাবিতে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলায় নিজের গ্রাম রালেগাঁও সিদ্ধিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ‘জন আন্দোলন সত্যাগ্রহ’ শুরু করেন তিনি। নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও তোলেন। ভোটে জিততে মোদী তাঁকে ব্যবহার করেছেন বলে দাবি করেন। এর পরই পর বুধবার অন্নার সঙ্গে দেখা করতে ছুটে যান দেবেন্দ্র ফডনবীস।
২০১১ সালে ইউপিএ-২ সরকারের আমলে কেন্দ্রে নিয়োগের দাবিতে ধর্নায় বসেন অন্না হজারে। কেন্দ্রে লোকপাল এবং রাজ্যগুলিতে লোকায়ুক্ত নিয়োগের দাবি তোলেন তিনি। যার আওতায়, দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে যে কারও বিরুদ্ধে তদন্ত করা যাবে। সে দেশের প্রধানমন্ত্রীই হোন বা কোনও রাজ্যের ক্ষমতাশালী মুখ্যমন্ত্রী। মূলত তাঁর আন্দোলনের জেরেই ২০১৩ সালে সংসদে লোকপাল আইন পাশ হয়।
কিন্তু আইনগত এবং পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে এখনও কেন্দ্রে লোকপাল নিয়োগ হয়নি। কয়েকটি রাজ্য লোকায়ুক্ত নিয়োগ করলেও তাঁরা কার্যত ক্ষমতাহীন। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের অনশনে বসেছিলেন ৮১ বছরের অণ্ণা হজারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy