Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মৃত্যুতে নীরব স্বস্তি!

অফিসপাড়া থেকে শপিং মল, চায়ের ঠেক থেকে টেলিভিশনের পর্দা। টানা দু’দিন ধরে আলোচনার বিষয় একটিই— শ্রীদেবীর মৃত্যু। 

নীরব মোদী। ফাইল চিত্র।

নীরব মোদী। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫০
Share: Save:

শনিবার মধ্যরাতে খবরটা ছড়িয়ে পড়ল দাবানলের মতো।

দুবাইয়ে প্রয়াত শ্রীদেবী।

রবিবার সারাদিন তা নিয়ে চলল আলোচনা-শোক। সোমবার বেলা গড়াতেই শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে শোক আচমকা বদলে গেল রহস্যে।

অফিসপাড়া থেকে শপিং মল, চায়ের ঠেক থেকে টেলিভিশনের পর্দা। টানা দু’দিন ধরে আলোচনার বিষয় একটিই— শ্রীদেবীর মৃত্যু।

আর এতে যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে বিজেপি! গত দশ দিন ধরে নীরব মোদী নিয়ে যে ভাবে ধুন্ধুমার কাণ্ড চলছিল, তাতে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর দলের। যে অস্ত্র দিয়েই তারা মোকাবিলার চেষ্টা করেছে, সেটিই ভোঁতা হয়ে গিয়েছে। মাঝে ইপিএফের সুদের হার কমল। কিন্তু তাতে বিতর্কের মোড় তো ঘুরলই না, উল্টে বিরোধীদের হাতে আরও একদফা অস্ত্র এল— নীরবের টাকা মেটাতে আমজনতার পকেটে কোপ মারছে বিজেপি!

কংগ্রেস গত ক’দিনে নীরব-বিতর্ক থেকে বিজেপিকে দৃষ্টি ঘোরাতেই দেয়নি। দিল্লিতে রোজ সাংবাদিক বৈঠক করে নতুন তথ্য দিয়ে তোপ দেগেছে মোদী-সরকারকে। রাহুল গাঁধী নিজেও কর্নাটক প্রচারে গিয়ে নিশানা করেছেন বিষয়টি নিয়ে। আজ সেই কংগ্রেসকেও হাল ছাড়তে
হল। শ্রীদেবী-আবেগের জেরে আজ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করল না দল।তা জানিয়ে দেওয়া হল সকালেই।

আরও পড়ুন: ঋণের জাল আরও বিশাল

আর এতে যে বিজেপি হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে, তা কবুলও করলেন দলের এক নেতা। তিনি বলেন, ‘‘কোনও ঘটনাই নীরব-ইস্যু থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে পারছিল না। অথচ এটা…’’— মুচকি হাসছেন ওই নেতা। সুযোগে বরং অমিত শাহরা আজ মাঠে নেমেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের জামাইয়ের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে।

কংগ্রেস বলছে, জনতার আবেগকে ‘সম্মান’ জানিয়েই আপাত বিরতি দেওয়া হয়েছে। সামনের সপ্তাহ থেকেই শুরু হচ্ছে সংসদের অধিবেশন। এ বারে বিরোধীরা একজোট হয়ে তেড়েফুঁড়েই নামবে নীরব-প্রসঙ্গে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE