অলঙ্করণ শৌভিক দেবনাথ।
স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত হোক বা মাদকে। সন্তান হচ্ছে না কিংবা সংসারে অশান্তি। যৌন সমস্যা থেকে শারীরিক অসুস্থতা। এক চুমুতেই সব সমস্যার সমাধান। নাম ‘চমৎকারী চুম্বন’। সে চুম্বনের এমনই অলৌকিক মহিমা যে, সব সমস্যা নিমেষে দূর হয়ে যায়।
এমনই এক বুজরুকির ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন স্বঘোষিত ‘চুমু বাবা’। অসমের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। আর ভক্তরাও ছিল শুধুই মহিলা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। কোনও অলৌকিক ক্ষমতাই ‘চুমু বাবা’র ওরফে রামপ্রকাশ চৌহান গ্রেফতারি আটকাতে পারল না। শেষ পর্যন্ত ঠিকানা শ্রীঘর। সঙ্গী তাঁর মা-ও। অভিযোগ, তিনি গুণধর ছেলের অলৌকিক ক্ষমতার কথা প্রচার করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপ্রকাশ চৌহান অসমের মরিগাঁও জেলার ভোরালটুপ গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামে গ্রামে বার্তা রটেছিল, এই রাম প্রকাশই অলৌকিক ক্ষমতাধারী। নাম ‘চুমু বাবা’। যে কোনও সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে গেলে তিনি জড়িয়ে ধরে চুমু দিয়ে দিতেন। তবে শর্ত একটাই, সমস্যা নিয়ে বছর তিরিশের ওই বাবার কাছে মহিলাদেরই যেতে হবে।
আরও পড়ুন: কনের সাজে নগ্ন ছবি! প্রাণনাশের হুমকির মুখে বাঙালি ফোটোগ্রাফার
ক্রমে ক্রমে সে বার্তা রটে গেল গ্রামে। বাবার ‘মাহাত্ম্য’ ও ‘মহিমা’ ছড়াতে লাগল দূর দূরান্তে। বাড়ির সামনেই গড়ে তোলা হল ‘চুমু বাবা’র মন্দির। খবর গেল স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলেও। ফলাও করে টিভি চ্যানেলে দেখানো হল, এক এক করে মহিলারা আসছেন। আর বাবা জড়িয়ে ধরে তাঁদের চুমু দিচ্ছেন।
আরও পডু়ন: বাজপেয়ীর শোকসভায় অট্টহাস্য ছত্তীসগঢ়ের দুই মন্ত্রীর, ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
কিন্তু সেটাই কাল হল চুমু বাবার। ওই টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে খবর গেল পুলিশে। আর তার পরেই অভিযান। হাতেনাতে গ্রেফতার ‘চুমু বাবা’। আর ছেলের ‘মাহাত্ম্য’ প্রচার এবং ‘কুকীর্তি’তে সাহায্য করার অভিযোগে ধৃত তাঁর মা-ও।
মরিগাঁওয়ের পুলিশ অফিসার জে বরা জানিয়েছেন, ‘‘অভিযুক্ত রামপ্রকাশ চৌহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, নানা সমস্যা দূর করার নামে মহিলাদের জড়িয়ে ধরা ও চুমু খাওয়ার মাধ্যমে যৌন শোষণ করছিলেন। সে কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy