বজরং দল কি উগ্র সংগঠন? কথায় কথায় মেরে দেওয়ার মতো ব্যাপার?
এ সব প্রশ্নকে সামনে রেখেই কাছাড় জেলার আইরংমারায় দীর্ঘ বক্তৃতা করলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সম্পাদক স্বপন মুখোপাধ্যায়। বজরং দলের সাতদিনের প্রশিক্ষণ শিবির গত কাল আইরংমারায় শেষ হয়েছে। সমাপ্তি লগ্নে ছিল প্রকাশ্য সভা। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সম্পাদক স্বপনবাবু।
তিনি বলেন, ‘‘বজরং দলের বিরুদ্ধে অনেকে উত্তেজনা সৃষ্টির অভিযোগ করেন। ওই সব অহেতুক জল্পনা। যাকে-তাকে মেরে দেওয়ার মতো সংগঠন নয় বজরং দল। শুধু দেশমাতৃকার অপমান সইতে পারেন না।’’ স্বপনবাবুর বক্তব্য, ভারতমাতা কোথাও বিপত্তির মুখে বলে মনে হলে সংগঠনের সদস্যরা স্থির থাকতে পারেন না। তেমন পরিস্থিতিতে তাঁরা নিজের জীবন বাজি রেখে যে কোনও ধরনের লড়াইয়ে প্রস্তুত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নিজের ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি তাঁরা প্রত্যেকে অত্যন্ত যত্নবান বলে দাবি করেন বজরং নেতা। তিনি বলেন, ‘‘ওই সব ব্যাপারে কোনও আপস নেই। নিজের ধর্ম-সংস্কৃতিকে কী ভাবে শারীরিক ও সাংগঠনিক শক্তি দিয়ে রক্ষা করা যায়, গুরুত্বের সঙ্গে সেটাই শেখানো হয় প্রশিক্ষণ শিবিরে। যে কোনও অপশক্তির মোকাবিলায় তাঁরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’’
স্বপনবাবুর ব্যাখ্যা, বজরং দল পুরোমাত্রায় রাষ্ট্রবাদী সংগঠন। দেশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে বজরং দলের ৫২ হাজার একল বিদ্যালয়, ৪৮টি অনাথালয় ও ৩৭৫টি গোশালা। রয়েছে ১০৮টি ছাত্রাবাসও। স্বপনবাবু জানান, ছাত্রাবাসগুলির মধ্যে ১৭টি রয়েছে উত্তর-পূর্বে।
গত কাল বজরং দলের প্রকাশ্য সভার ওই মঞ্চে শিবশঙ্কর মজুমদার, পরিতোষ চন্দ, ঈশ্বরভাই উবাদিয়া, পূর্ণচন্দ্র মণ্ডল এবং মৃণালকান্তি দাসও উপস্থিত ছিলেন। সমাপ্তি অনুষ্ঠানের শুরুতে নতুন প্রশিক্ষিত ১৫০ জন ক্যারাটে, লাঠি চালনা ও সূর্যপ্রণাম প্রদর্শন করেন। তা দেখতে ভিড় জমেছিল অনুষ্ঠানস্থলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy