Advertisement
২৪ মার্চ ২০২৩
BBC Documentary

শুধু তথ্যচিত্র নয়, ভারতে নিষিদ্ধ করা হোক বিবিসি-কেও! আর্জি জানিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে

বিবিসি এবং এই সংস্থার কর্মীদের উপর তদন্তের দাবি তুলেও সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের একটি বেঞ্চে ওই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি শুরু করেছে। 

Plea in Supreme Court seeks complete ban on BBC in India for making documentary on PM Modi.

বিবিসি এবং এই সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেও শীর্ষ আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ফাইল চিত্র ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:২১
Share: Save:

দেশে সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হোক বিতর্কিত তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’-এর সম্প্রচারকারী সংস্থা বিবিসি-কে। এমনই আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা হল সুপ্রিম কোর্টে। ভারত এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘বৈষম্যমূলক’ আচরণ করেছে বিবিসি, এই অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর তৈরি তথ্যচিত্রটি ভারত এবং দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ‘হিন্দু সেনা’ সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত এবং জনৈক বীরেন্দ্রকুমার সিংহের তরফে সুপ্রিম কোর্টে এই জনস্বার্থ মামলাটি করা হয়েছে।

Advertisement

এই আবেদনটিকে জরুরি তালিকাভুক্তির জন্য আবেদনকারীদের শুক্রবার আবার তা উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কর্ট।

বিবিসি এবং এই সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেও শীর্ষ আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ এই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি শুরু করেছে।

একই সঙ্গে, দেশে বিবিসি-র তথ্যচিত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেও পাল্টা আবেদন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার সেই আবেদনের শুনানি শুরু হওয়ার কথা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ব্রিটেনে প্রবাসী ভারতীয়রা বিবিসি এবং ওই তথ্যচিত্রটি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পর সে দেশের সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ব্রিটেনের জাতীয় সম্প্রচারকারী এই সংস্থা সম্পূর্ণ ভাবে ‘স্বাধীন’।

দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীর জমানায় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া:দ্য মোদী কোয়েশ্চন’-এ। এই তথ্যচিত্র নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তির কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। নিষিদ্ধও করা হয়েছিল তথ্যচিত্রটি। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, এই তথ্যচিত্র ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তৈরি হয়েছে। যদিও বিবিসির দাবি, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। মোদী সরকারের ওই পদক্ষেপকে বিরোধী দলের নেতারা ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন। কেন্দ্রের তরফে এই তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করার পরও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এই তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.