Advertisement
০৬ মে ২০২৪

উত্তরাখণ্ডে দৌড়ে এগিয়ে কৌশিয়ারি

চার বছর আগে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কার্যত ধুয়ে মুছে গিয়েছিল উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশ। আর আজ দেবভূমিতে বিজেপির স্রোতে ধুয়ে মুছে গেল কংগ্রেস। জয়ের এই খুশির মধ্যেই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল-বিজেপির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার কে হবেন!

উল্লাস: উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে জয়ের পরে রং খেলায় মেতেছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। শনিবার দিল্লিতে দলের সদর দফতরে। ছবি: পিটিআই।

উল্লাস: উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে জয়ের পরে রং খেলায় মেতেছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। শনিবার দিল্লিতে দলের সদর দফতরে। ছবি: পিটিআই।

অনমিত্র সেনগুপ্ত
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৭ ০৩:৫৭
Share: Save:

চার বছর আগে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কার্যত ধুয়ে মুছে গিয়েছিল উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশ। আর আজ দেবভূমিতে বিজেপির স্রোতে ধুয়ে মুছে গেল কংগ্রেস। জয়ের এই খুশির মধ্যেই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল-বিজেপির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার কে হবেন! সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভগৎ সিংহ কৌশিয়ারি দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

অন্য রাজ্যগুলির মতোই এখানেও মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রার্থী ঘোষণা করেননি নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। ফলে জেতার পরে ভেসে উঠেছে একাধিক নাম। যেমন বিজয় বহুগুণা। ভোটের কিছু দিন আগে দলবল নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। নিজে তো জিতেছেনই, সঙ্গে জিতেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। ফলে দাবিদারের তালিকায় রয়েছেন তিনি। আছেন ৮২ বছরের বি সি খান্ডুরির মতো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অধিকারী হলেও বয়স তাঁর বিপক্ষে বলেই মত বিজেপি শিবিরের।

আবার রমেশ পোখরিয়ালের মতো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এই দৌড়ে থাকলেও, তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। ফলে আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ ভগৎ সিংহ কৌশিয়ারি কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন বলেই বিজেপি সূত্রে খবর। রাজ্যের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী কৌশিয়ারির বয়স এখন প্রায় ৭৫ বছর। স্বভাবতই বয়সের প্রশ্নে কৌশিয়ারি, এ বারের ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া এন ডি তিওয়ারির মতোই পিছিয়ে রয়েছেন। এই দৌড়ে কালো ঘোড়া হিসেবে উঠে আসতে পারেন নবীন নেতা অজয় টামটা। নাম রয়েছে গাড়বালি নেতা ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়ত ও সৎপাল মহারাজেরও।

গোটা রাজ্যে যে ভাবে কংগ্রেস মুছে গিয়েছে তার পিছনে প্রধানত তিনটি কারণ রয়েছে বলে ধারণা রাজনীতিকদের। প্রথমত, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরীশ রাওয়তের স্বেচ্ছাচারী মনোভাব। এর ফলে দলের সাধারণ কর্মীদের পাশাপাশি নেতা-বিধায়কদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর। যার প্রভাব পড়ে ভোটে। দ্বিতীয়ত, উত্তরাখণ্ডের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। গত দু’বছরে রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নে বিপুল অর্থ খরচ করেছেন মোদী। তৃতীয়ত, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে উত্তরাখণ্ডের সাধারণ মানুষের সমর্থন। পাশাপাশি রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের দুর্নীতিগ্রস্ত ভাবমূর্তিও ভোটারদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bhagat Singh Koshyari Chief Minister
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE