কালামের মূর্তির সামনে রাখা গীতার পাশে একটি বাইবেল ও কোরান রাখছেন সালিম।ছবি: পিটিআই।
গত বৃহস্পতিবার প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের গ্রাম পেইকারাম্বুতে এক স্মারক ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিন কয়েক কাটতে না কাটতেই বিতর্কে সেই স্মারক ভবন। আরও স্পষ্ট করে বললে, বিতর্কের মূলে ভবনের ভিতর রাখা বীণাবাদনরত কালামের একটি মূর্তি ও তার পাশে থাকা কাঠের তৈরি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ‘ভাগবত গীতা’।
কেন কালামের মূর্তির পাশে শুধু গীতা রাখা হয়েছে, তা নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তোলেন এমডিএমকে নেতা ভাইকো। তাঁর অভিযোগ ছিল, কালামের মূর্তিকেও ধর্মের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। যা কোনওভাবেই কাম্য নয়। পরে সরব হন আরও অনেকে। সমালোচকদের দাবি ছিল, প্রাচীন তামিল মহাগ্রন্থ থিরুক্কুরাল কালামের অত্যন্ত প্রিয় ছিল। অনেক সময় এই বই থেকে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল কালামকে। সে জন্য সমালোচকরা দাবি করে ছিলেন, অন্ততপক্ষে ওই বইটি রাখা যেতে পারত।
আরও পড়ুন : হিন্দুস্তানকে ‘লিঞ্চিস্তান’ বানাবেন না, লোকসভায় আক্রমণাত্মক কংগ্রেস
তৎপর হয় কালামের পরিবারও। তাঁর ভাইপো শেখ সালিম এই মূর্তি যারা স্থাপন করেছে, সেই কালাম মেমোরিয়াল প্রজেক্টের প্রধান, ডিআরডিও-র কর্নেল বিশ্বজিৎ চৌবের দ্বারস্থ হন। শেষ পর্যন্ত আজ, সোমবার সকালে কালামের মূর্তির সামনে রাখা গীতার পাশে একটি বাইবেল ও কোরানও রেখে দেন সালিম। পরে তিনি বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জাতি-ধর্মের অনেক ঊর্ধ্বে।কিন্তু, বিতর্ক থামেনি। এর পর বিষয়টি নিয়ে সরব হয় স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। শেষ পর্যন্ত তাদের চাপে সরিয়ে নেওয়া হয় বাইবেল ও কোরান। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পন রাধাকৃষ্ণাণ বলেন, ‘‘কালাম সব ধর্মের ঊর্ধ্বে। তাঁর মূর্তির পাশে রাখা গীতা নিয়ে এই বিতর্ক খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy