Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

ধর্মঘটে মিশ্র প্রভাব

আটকে পড়ে একাধিক ট্রেন। নাকাল হতে হয়েছে বহু যাত্রীকে। এ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটি ঘোষণা করে ওড়িশা সরকার।

ছবি রয়টার্স।

ছবি রয়টার্স।

 সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:২৯
Share: Save:

কেন্দ্রীয় ১০টি শ্রমিক সংগঠনের ডাকা দু’দিনের দেশব্যাপী ধর্মঘটের প্রথম দিনে মিশ্র সাড়া মিলেছে।
হরিয়ানা, ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, গোয়া, রাজস্থান, মেঘালয়, অসম-সহ দেশের শিল্পাঞ্চল এবং খনি এলাকায় ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, তেল, খনি, বন্দর, পরিবহণ এবং বিমা ক্ষেত্রে স্বতঃস্ফূর্ত ধর্মঘট হয়েছে। ব্যাঙ্ক এবং ডাক বিভাগের কাজকর্ম মঙ্গলবার ব্যাহত হয়েছে। ত্রিপুরা এবং রাজস্থান কিছু জায়গায় ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্ত গোলমালের ঘটনাও ঘটেছে। এআইটিইউসির সাধারণ সম্পাদক অমরজিৎ কৌরের দাবি, পাঁচটি রাজ্য এবং পুদুচেরিতে ধর্মঘট সর্বাত্মক। সিটুর দাবি, এ বারের ধর্মঘট অভূতপূর্ব। শ্রমিক সংগঠনগুলির নেতৃত্বের দাবি, সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্র মিলে দেশে ২০ কোটি শ্রমিক ও কর্মচারী এ বারের ধর্মঘটে শামিল।
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির সার্বিক জনজীবনে অবশ্য ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়েনি।
বাম-শাসিত কেরলে ধর্মঘট কার্যত ‘হরতালে’র চেহারা নিয়েছিল। ধর্মঘটে ওড়িশায় রেল পরিষেবা দারুণ ভাবে ব্যাহত হয়। ভুবনেশ্বর, কটক, পুরী-সহ একাধিক জায়গায় ধর্মঘটকারীরা রেল-রাস্তা অবরোধ করেন। আটকে পড়ে একাধিক ট্রেন। নাকাল হতে হয়েছে বহু যাত্রীকে। এ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটি ঘোষণা করে ওড়িশা সরকার। তেলঙ্গানা প্রশাসন সূত্রের খবর, সরকারি, বেসরকারি এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের প্রায় ২০ লক্ষ কর্মী এ দিনের ধর্মঘটে যোগ দেন। মুম্বইয়ের পরিবহণ ক্ষেত্রের প্রায় ৩২ হাজার শ্রমিকও যোগ দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র অত্যাবশ্যক পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ আইন বলবৎ করে। ওই রাজ্যে ব্যাঙ্কগুলিতে হাজিরা ছিল অন্য দিনের তুলনায় কম। কর্ণাটকেও এ দিন বাস, অটো রাস্তায় নামেনি।
বিশাখাপত্তনম এবং তামিলনাড়ুর ইস্পাত ক্ষেত্রে ধর্মঘট সর্বাত্মক। কিন্তু রৌরকেলা এবং ভদ্রাবতীতে ধর্মঘটের আংশিক প্রভাব পড়েছে। হায়দরাবাদ এবং তার সংলগ্ন শিল্পতালুকগুলিও বন্ধ ছিল। তবে তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রে জনজীবন অচল হয়নি। কৃষক সংগঠনগুলিও এ দিন গ্রামীণ ভারত ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। কৃষক নেতাদের দাবি, বিপুল সংখ্যক কৃষক ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Conflicts Bandh Bharat Bandh Politics CPM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE