রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘকে (আরএসএস) মিশরের কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন ‘মুসলিম ব্রাদারহুডের’ সঙ্গে তুলনা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি, ব্রিটেনে এক আলোচনাসভায় আশঙ্কা প্রকাশ করলেন, ভবিষ্যতে ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে পড়লে তার প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বে। আর রাহুলের সেই বক্তব্যকে ‘হাতিয়ার’ করে বিজেপি অভিযোগ তুলল, তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকা এবং ইউরোপের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
লন্ডনের চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্কে ওই আলোচনাসভায় রাহুল অবশ্য ভারতে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে আমেরিকা বা ইউরোপের দেশগুলির সহায়তা চাওয়ার কোনও বার্তা দেননি প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। বরং তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় গণতন্ত্র চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কিন্তু তা একান্ত ভাবেই ভারতবাসীর বিষয়। আমরাই আমাদের সমস্যার মোকাবিলা করব।’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় গণতন্ত্র এখন সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শীঘ্রই তা কেটে যাবে।’’
আরও পড়ুন:
যদিও বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিতে ময়দানে বিতর্ক তৈরি করতে সক্রিয় হয়েছে বিজেপির। দলের নেতা অনুরাগ ঠাকুর মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন, বিদেশের মাটিতে ভারতকে অপমান করেছেন রাহুল। যদিও কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিক বার বিদেশ সফরে গিয়ে পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নিশানা করেছেন। ২০১৮ সালেও লন্ডনে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ’–এ এক আলোচনাসভায় রাহুল সঙ্ঘ পরিবারের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। সে সময়ও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল পদ্ম-শিবির।