ছবি: সংগৃহীত।
বামফ্রন্ট জমানায় সাক্ষরতার হারের যে হিসেব দেওয়া হয়েছিল তা সঠিক নয় বলে দাবি করলেন বিজেপি সরকারের শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। তাঁর দাবি, ওই হিসেবে হার বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। বাস্তবের সঙ্গে তার যথেষ্ট অমিল রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে রাজ্যওয়াড়ি সমীক্ষায় মাত্র ৩২৩৩ জনকে নিরক্ষর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু এ বছর ত্রিপুরার ১১ শতাংশ এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে সেখানেই ৪২৩০ জন নিরক্ষর ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি রতনবাবুর।
এই সমীক্ষা রিপোর্ট হাতে আসার পরেই নতুন করে রাজ্য জুড়ে সমীক্ষা চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। গত রাতে শিক্ষামন্ত্রী জানান, সার্বিক সমীক্ষা হলে নিরক্ষর মানুষের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যাবে। উল্লেখ্য, বামফ্রন্ট আমলে রাজ্যে ৯৭ শতাংশ মানুষকে সাক্ষর বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। এই সাক্ষরতা হার নিয়ে আগেও অনেকবার অভিযোগ উঠেছে। রতনবাবু জানিয়েছেন, বামফ্রন্টের সময়ে সাক্ষরতা ও শিক্ষিত, দু’টি বিষয়কে একত্রিত করে ফেলা হয়েছিল। তিনি কটাক্ষ করেন, ‘‘বামফ্রন্ট সরকার নিজেদের তৈরি করা হার নিয়ে নিজেরাই সন্দিহান ছিল। তাই ২০১৬ সালে রাজ্যে সমীক্ষা করানো হয়।’’
তাঁর দাবি, নয়া সমীক্ষায় সাক্ষরতার হার ৮৮ শতাংশে নেমে আসবে। তিনি জানান, আগামী ২১ ডিসেম্বর সাক্ষরতা মিশনের বৈঠক হবে। ওই বৈঠকেই সারা রাজ্যে সাক্ষরতার হার নতুন করে যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে বিজেপি সরকারের এই অভিযোগ খারিজ করেছেন তৎকালীন বাম শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সাক্ষরতা মিশন কেন্দ্রীয় মিশনের অধীনেই কাজ করে। তার সর্বশেষ সমীক্ষা রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। তাকে রাজ্য সরকার মান্যতা দিয়েছিল।’’ তাঁর মতে, সেই সমীক্ষা অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করা হয়েছিল। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘রাজ্য সাক্ষরতা মিশনের রিপোর্ট জাতীয় সাক্ষরতা মিশনে পাঠানো হয়। তারা কোনও আপত্তি জানিয়েছে বলে জানি না।’’
আরও পড়ুন: ‘বাধা না দিয়ে ধর্ষকদের হাতে কনডোম তুলে দিন’, পরামর্শ শ্রাবণের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy