Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Boiler Explosion

হরিদ্বারের ইস্পাত কারখানায় বিস্ফোরণ, বয়লার ফেটে ঝলসে গেলেন ১৭ শ্রমিক

স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিস্ফোরণের খবর পুলিশ এবং দমকলকে দেননি কারখানা কর্তৃপক্ষ। আহতদের নিজেরাই হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন।

বিস্ফোরণস্থল পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

বিস্ফোরণস্থল পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
হরিদ্বার শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৯
Share: Save:

বুধবার রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হল উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের একটি ইস্পাত কারখানায়। রুড়কির মুন্ডিয়াকি গ্রামে একটি ইস্পাত কারখানায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, কারখানার বয়লারে বিস্ফোরণ হয়েছে। এই বিস্ফোরণের ফলে ঝলসে আহত হয়েছেন ১৭ জন শ্রমিক।

এই বিস্ফোরণের পরই গোটা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কারখানায় হুলস্থুল পড়ে যায়। কর্মীরা আতঙ্কে কারখানা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এক কর্মী জানিয়েছেন, হঠাৎই জোরালো একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পেয়েছিলেন তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা। বিস্ফোরণ যে কারখানার ভিতরেই হয়েছে, তা বুঝতে পেরেছিলেন। কাজ ফেলে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন বয়লারে বিস্ফোরণ হয়েছে। চারপাশে পড়ে রয়েছেন বেশ কয়েক জন শ্রমিক।

বিস্ফোরণের পরই কারখানার অন্য কর্মীরা উদ্ধার কাজে হাত লাগান। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, বয়লারে বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে কী থেকে বিস্ফোরণ তা স্পষ্ট হয়নি। ফরেন্সিক দলও ডাকা হয়। তারা বিস্ফোরণের প্রকৃতি পরীক্ষা করে দেখেন। স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিস্ফোরণের খবর পুলিশ এবং দমকলকে দেননি কারখানা কর্তৃপক্ষ। আহতদের নিজেরাই হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন। স্থানীয় হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে আহতদের মুজফফরনগরে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল থেকেই পুলিশের খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তখন তদন্তে নেমে জানতে পারে বিস্ফোরণের ঘটনার কথা। তার পরই ঘটনাস্থলে যায় তারা। নিয়ে যাওয়া হয় ফরেন্সিক দলকেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Explosion Haridwar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE