Advertisement
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
National News

নৌসেনার হাতে তৃতীয় স্করপেন, ক্রমশ বাড়ছে সাবমেরিন বহর

ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মোট ছ’টি স্করপেন ক্লাস সাবমেরিন তৈরি করছে ভারত। মোট খরচ ৩০০ কোটি ডলার। এই গোত্রের প্রথম সাবমেরিন আইএনএস কলবরী ২০১৫ সালেই জলে নেমেছিল। দ্বিতীয় স্করপেন আইএনএস খান্ডেরি ২০১৭-র জানুয়ারিতে জলে নামে। এ বার এল তৃতীয় স্করপেন।

ভারতীয় নৌসেনার হাতে এল তৃতীয় স্করপেন সাবমেরিন আইএনএস করঞ্জ।

ভারতীয় নৌসেনার হাতে এল তৃতীয় স্করপেন সাবমেরিন আইএনএস করঞ্জ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:৫২
Share: Save:

আরও এক নতুন সাবমেরিন ভারতীয় নৌসেনায়। বুধবার জলে নামল ভারতীয় নৌসেনার তৃতীয় স্করপেন সাবমেরিন আইএনএস করঞ্জ। মুম্বইয়ের মাজাগাঁও ডক থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিনটিকে জলে নামানো হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা।

টর্পেডো এবং অ্যান্টি-শিপ মিসাইল ব্যবহার করে হামলা চালাতে সক্ষম এই ডুবোজাহাজ। আজ থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে আইএনএস করঞ্জের পরীক্ষামূলক সমুদ্রযাত্রা।

ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মোট ছ’টি স্করপেন ক্লাস সাবমেরিন তৈরি করছে ভারত। মোট খরচ ৩০০ কোটি ডলার। এই গোত্রের প্রথম সাবমেরিন আইএনএস কলবরী ২০১৫ সালেই জলে নেমেছিল। ২০১৭-র ডিসেম্বরে সেটি নৌসেনায় কমিশনড-ও হয়ে গিয়েছে।

দ্বিতীয় স্করপেন ক্লাস অ্যাটাক সাবমেরিন আইএনএস খান্ডেরি ২০১৭-র জানুয়ারিতে জলে নামে। তার পরীক্ষামূলক সমুদ্রযাত্রা প্রায় শেষ। সে সবের ফাঁকেই নৌসেনার হাতে চলে এল তৃতীয় স্করপেন।

আরও পড়ুন:

হাত কাটতে মরিয়া বিজেপি দ্বারস্থ নির্বাচন কমিশনের

ভূকম্পন হিন্দুকুশে, কাঁপল দিল্লি-সহ উত্তর ভারত

স্করপেন ক্লাসের বাকি তিনটি সাবমেরিনের নির্মাণ কাজও দ্রুত এগোচ্ছে। প্রতি ন’মাস অন্তর একটি করে স্করপেনকে জলে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ হচ্ছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।

ভারতীয় নৌসেনায় কমিশনড সাবমেরিনের সংখ্যা এই মুহূর্তে মোট ১৫। সেগুলির মধ্যে ১৩টি হল ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন। বাকি ২টি নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন। ভারত মহাসাগরীয় জলভাগের আশেপাশে অবস্থিত প্রায় সব দেশই সাবমেরিন বহরের নিরিখে ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। কিন্তু চিনের মোকাবিলার জন্য ভারতীয় নৌসেনার আরও কিছু সাবমেরিন প্রয়োজন। সে কথা মাথায় রেখেই ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ৬টি স্করপেন সাবমেরিন তৈরির প্রকল্প হাতে নেয় ভারত।

মুম্বইয়ের মাজাগাঁও ডক থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সাবমেরিনটিকে জলে নামানো হয়েছে

২০১৬-র সেপ্টেম্বরে স্করপেন সাবমেরিন খবরের শিরোনামে এসেছিল। এই সাবমেরিনগুলি সম্পর্কে বিভিন্ন গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছিল এবং তা অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিতও হয়েছিল। তা নিয়ে প্রবল তোলপাড় শুরু হয়। তবে ভারতীয় নৌসেনা বলছে, তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলে এই সাবমেরিনের সক্ষমতা কমে যাচ্ছে, তেমনটা নয়। বরং স্করপেন ক্লাস সাবমেরিনগুলি একে একে জলে নামতে শুরু করায় ভারতীয় নৌসেনার সক্ষমতা দ্রুত বাড়ছে বলে বাহিনীর কর্তারা মনে করছেন।

স্করপেন সাবমেরিন লুকিয়ে হামলা চালাতে অত্যন্ত পারদর্শী। জলের তলা দিয়ে যাতায়াতের সময় সাধারাণ ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিনের ইঞ্জিন থেকে যতটা শব্দ নির্গত হয়, স্করপেনের ক্ষেত্রে তা হয় না। স্করপেনের ইঞ্জিন খুব কম শব্দ করে। ফলে প্রতিপক্ষের রাডার তাকে সহজে চিহ্নিত করতে পারে না। ফলে এই সাবমেরিন প্রতিপক্ষকে চমকে দিয়ে হামলা চালাতে সক্ষম।

স্করপেন থেকে টর্পেডো এবং অ্যান্টি-শিপ মিসাইল নিক্ষেপ করা যায়। জলের তলা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ, দু’রকম অবস্থান থেকেই হামলা চালানোর সক্ষমতা রয়েছে স্করপেনের। এ ছাড়া গুপ্তচরবৃত্তি চালানো, সাবমেরিন-বিধ্বংসী যুদ্ধে অংশ নেওয়া এবং মাইন পাতার কাজেও স্করপেনের জুড়ি নেই।

ছবি: রয়টার্স।

অন্য বিষয়গুলি:

Indian Navy Submarine Karanj Mumbai Scorpene Submarine Mazagaon Dock সাবমেরিন স্করপেন নৌসেনা
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy