বরাবরই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করানো হয়েছে সনিয়াকে। প্রতি বারই সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন, সসম্মানে উতরেও গিয়েছেন। ২০০৬ সালের ঘটনার পর তাঁকে সাম্প্রদায়িক সমস্যাসঙ্কুল বেলগামে পুলিশ সুপারের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয় । বেলগামের মতো এলাকায় তিনিই ছিলেন প্রথম মহিলা পুলিশ সুপার। দিন রাত এলাকায় ঘুরে ঘুরে সমাজবিরোধীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছিলেন সনিয়া। সনিয়ার এই পদক্ষেপে ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়েছিল বহু অপরাধী।
তিনি প্রকাশ্যে একটি বিবৃতি জারি করেন। লেখেন, ‘খবরের কাগজ মারফৎ জানতে পেরেছি মুখ্যমন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। যে খনি কেলেঙ্কারির দায় তিনি আমার উপর চাপিয়েছেন তা সত্যি নয়। যে সমস্ত এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কোনও দিন আমি দায়িত্বে ছিলামই না। তা হলে আমার নাম আসছে কোথা থেকে। এমনকি আমি খনি দফতরের দায়িত্বেও ছিলাম না কখনও। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের বিরুদ্ধে আমি আইনি পথেই লড়তে চাই। কারণ আমি জানি আমি সৎ।’ সনিয়ার এই উত্তরে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন সিদ্দারামাইয়া।
পুলিশ মহলে ‘আয়রন লেডি’ বা লৌহমানবী হিসাবে পরিচিত সনিয়া। তবে রান্নাঘরে অনীহা। এক পুত্রের মা। বিয়ে করেছেন এক আইপিএস কর্তাকেই। স্বামীর নাম গণেশ কুমার। তবে তাঁর সঙ্গে মাসে কদাচিৎ দেখা হয়। সনিয়া জানিয়েছেন, তিনি আর কিছু না হোক, পরিবারকে রাজমা-চাওল রেঁধে খাওয়াতে পারবেন। রাজমা-চাওল পঞ্জাবিদের পছন্দের খাবার। সনিয়ার কথায়, ‘আমার পরিবার বলে আমি এটা মন্দ রাঁধি না।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy