মণিপুরে অর্থনৈতিক অবরোধের জন্য ফের বিজেপিকে নিশানা করল কংগ্রেস। দলের দাবি, সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন জিতবে কংগ্রেসই। পর পর তিন বার মণিপুরে ভোটে জিতে সরকার গড়েছেন ওক্রাম ইবোবি সিংহ। কংগ্রেসের দাবি, চতুর্থ বারও জিতবে তারাই।
উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতিরা আজ গুয়াহাটিতে বৈঠক করেন। দলীয় সূত্রে খবর, এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক সি পি জোশীর নেতৃত্বে ওই বৈঠকে সব রাজ্যে দলকে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত দেশের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক তা সাধারণ মানুষকে বোঝানো হবে। বৈঠকে মণিপুরে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ও আরএসএসের আগ্রাসন নিয়ে কথাবার্তা হয়।
উল্লেখ্য, ভোটযুদ্ধে সম্প্রতি অসম হাতছাড়া হওয়ার পর অরুণাচলের ক্ষমতাও হারিয়েছে কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য— সে রাজ্যে এক দিকে নাগাদের অবরোধ, অন্য দিকে শর্মিলা চানুর ভোটে লড়তে নামার সিদ্ধান্তে চাপে রয়েছে কংগ্রেস। তবে এ দিন জোশী দাবি করেন, শর্মিলার নতুন দল নির্বাচনে তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না। সরাসরি বিজেপির নাম না করেও তিনি বলেন, ‘‘কারা, কী কারণে মণিপুরে অর্থনৈতিক অবরোধে মদত দিচ্ছে তা সকলেই জানে। কিন্তু গণতন্ত্রের জয় হবে। কংগ্রেসকে রোখা যাবে না।’’ অসমের প্রাক্তন মু্খ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেন, ‘‘নেডা মঞ্চের কংগ্রেস কোঅর্ডিনেশন কমিটির মতো বিচক্ষণতা নেই। কিন্তু বেশি ভয় আরএসএসকে নিয়ে। তারা আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নষ্ট করে সর্বত্র হিন্দুত্ব চাপাতে চাইছে।’’ পাশাপাশি নোট-বাতিল নিয়ে প্রতিবাদ দেখাতে ৭ জানুয়ারি অসমের সমস্ত জেলায় জেলাশাসক দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। হাইলাকান্দির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিজেপি প্রতিনিধিরা।
আজ প্রদেশ বিজেপি সহ-সভাপতি মিশনরঞ্জন দাস, হাইলাকান্দি জেলা বিজেপির সভাপতি সুব্রত নাথের নেতৃত্বে বিজেপি প্রতিনিধিরা পুলিশ সুপার প্রণবজ্যোতি গোস্বামীর দফতরে যান। জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। উদাহরণ হিসেবে দু’দিন আগে লালায় শিক্ষক প্রসাদ শুক্লবৈদ্যের উপর হামলার প্রসঙ্গ তোলেন সকলে। ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়নি বলেও ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিজেপি নেতারা। পুলিশ অভিযোগকারী শিক্ষককেই আটক করেছিল বলে নালিশ জানানো হয়। পুলিশকর্তা জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ ছিল। তবে আটক করা হলেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এসপি আরও জানান, প্রয়োজনের তুলনায় পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম। তাই কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে হাইলাকান্দিতে অপরাধ দমনে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। বিজেপি প্রতিনিধিদলে ছিলেন পুরসদস্য তপন নাথ, পুলক নাথ, সুব্রত শর্মা মজুমদার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy