উত্তরপ্রদেশের মহাজোট মুখ থুবড়ে পড়ার পর এসপি এবং বিএসপি পরস্পরের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছিল। অখিলেশ যাদব ঘরোয়া আলোচনায় বলেছিলেন, তাঁদের জোট প্রার্থীর কাছে মায়াবতীর ভোট আসেনি। মায়াবতী সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেছিলেন, জোট হয়েছে ঠিকই কিন্তু তাঁর প্রার্থী এসপি-র ভোট পাননি।
সম্প্রতি ‘সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটি’র (সিএসডিএস) ভোট পরবর্তী সমীক্ষা রিপোর্টে পরিসংখ্যান দিয়ে কিন্তু দেখানো হয়েছে, এসপি-বিএসপি-র পরাজয়ের কারণ অন্য। এই দলগুলির সাবেকি ভোটব্যাঙ্কেই ক্ষয় ধরেছে। এসপি-র যাদব এবং বিএসপি-র দলিত (জাটভ শ্রেণি ছাড়া) ভোট অনেকটাই টেনে নিতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি।
রাজনৈতিক শিবিরে অতএব প্রশ্ন উঠছে, জাতপাতের রাজনীতি কি তা হলে শেষ হয়ে আসছে? লালুপ্রসাদ, অখিলেশ, মায়াবতীর মতো নেতাদের আধিপত্য বজায় রাখতে না-পারা কি সেটাই চিহ্নিত করছে না? পাশাপাশি আরও একটি প্রশ্নও সামনে আসছে। একমাত্র দাক্ষিণাত্য ছাড়া (যেখানে আঞ্চলিক দলগুলির জাত্যভিমান প্রখর) দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আঞ্চলিক দলগুলির কি তবে বিপদঘন্টা বেজে গেল? এই তালিকায় তৃণমূলও রয়েছে কি? তা নিয়েও আলোচনায় সরগরম রাজধানী।