পুজোর সময় বরাক উপত্যকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে দুষ্কৃতীরা। তার মোকাবিলায় উপত্যকায় বড়মাপের পুজো কমিটিগুলি নিজেদের মণ্ডপে কমপক্ষে দু’টি করে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিলেন করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রদীপরঞ্জন কর। পাশাপাশি সতর্ক থাকতে বললেন পুলিশকর্মীদেরও।
আজ এসপি দফতরে জেলার সব থানা, ফাঁড়ির পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুলিশ সুপার। তিনি জানান, করিমগঞ্জে বর্থমানে মাত্র ৬০ জন আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ান রয়েছেন। তাই পুলিশকে আরও তৎপর হতে হবে। নিরাপত্তারক্ষীরা সতর্ক থাকলে জেলায় শান্তি কোনও ভাবেই বিঘ্নিত হবে না। পুজো কমিটিগুলির কর্তাদের সঙ্গে থানা পর্যায়ে বৈঠকেরও নির্দেশ দেন প্রদীপবাবু। তিনি বলেন, ‘‘বরাকে শান্তি নষ্ট করতে ছক কষছে ভারত-বিরোধী শক্তিও। তাদের সব মতলব ভেস্তে দিতে হবে পুলিশকেই।’’ নাশকতা রুখতে বড় সর্বজনীন পুজো কমিটিগুলিকে মণ্ডপের আশপাশে ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেন এসপি।
পুলিশ সূত্রে খবর, করিমগঞ্জ জেলায় শ’তিনেক দুর্গাপুজো হয়। করিমগঞ্জ শহরে ৪০টি, কালীগঞ্জে ১৭, লঙ্গাইয়ে ১৩, মদনমোহনে ১২, গিরিশগঞ্জে ১৬, নিলামবাজারে ৪৬, রামকৃষ্ণনগরে ৫৪, রাতাবাড়িতে ৬২, পাথারকান্দিতে ৬৪টি পুজো হয়। বাজারিছড়া থানা এলাকায় এ বার কতগুলি পুজো হবে, সেই হিসেব এখনও প্রশাসনের কাছে পৌঁছয়নি। পাশাপাশি বিজয়া দশমীতে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য রাত ১০টার পর কোনও প্রতিমা নিরঞ্জন করতে দেওয়া হবে না বলে এসপি জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy