চন্দ্রবাবুর বাড়ির মূল দরজা আটকানো হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া
দলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগেই গৃহবন্দি করা হল অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু ও তাঁর ছেলে নারা লোকেশকে। তেলুগু দেশমের বেশ কিছু সাংসদ, বিধায়ক, অন্ধ্রের প্রাক্তন মন্ত্রীদের বুধবার গৃহবন্দি করেছে জগন্মোহন রেড্ডির পুলিশ। প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার অনশনে বসেন চন্দ্রবাবু। মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি ও পুলিশকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘বন্দি করে আমাকে আটকানো যাবে না।’’
বিতর্কের সূত্রপাত রাজ্যের গুন্টুর জেলার পালনাড়ু এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে। তেলুগু দেশমের অভিযোগ, গত সপ্তাহে জগন্মোহন সরকার ১০০ দিন পেরোনোর পরই ওয়াইএসআর কংগ্রেসের কর্মীরা তাদের কর্মীদের উপর একের পর এক হামলা করছে। এর জেরে গত সপ্তাহেই নিহত হয়েছেন তেলুগু দেশমের আট জন কর্মী। চন্দ্রবাবুর অভিযোগ, গুন্টুর ছাড়াও রাজ্যের অন্য এলাকা গুলিতেও তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গুন্টুরে অন্তত ৫০০ জন কর্মীর উপর হামলা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে এ দিন ঘরছাড়া ও তাঁদের তৈরি শিবিরে আশ্রিত কর্মীদের নিয়ে অমরাবতী থেকে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার দূরে আত্মাকুর এলাকায় যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু। কিন্তু ‘চলো আত্মাকুর’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকালে নায়ডু যখন বাড়ি থেকে বার হচ্ছেন, তখনই দড়ি দিয়ে তাঁর বাসভবনের মূল ফটকটি আটকে দেয় পুলিশ। বাইরের সব রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। গাড়িতে আধ ঘণ্টা বসে থাকেন অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সমর্থকেরা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। নায়ডু জানান, গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হলেই তিনি আত্মাকুরে পৌঁছবেন।
আজকের ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন’ আখ্যা দিয়ে নায়ডু বলেন, ‘‘এমন ঘটনা রাজ্যে আগে কখনও ঘটেনি।’’ তাঁর অভিযোগ, জগন্মোহন সরকার নাগরিকদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, মানবাধিকারের উপর আঘাত করা হচ্ছে। প্রতিবাদে আজ রাত আটটা থেকে অনশনে বসেন তিনি। এ দিন চন্দ্রবাবুর ছেলে নারা লোকেশ তাঁদের উন্দাভালির বাড়ি থেকে বেবিয়ে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তাঁকেও আটকায় পুলিশ। তিনি যুক্তি দেন, বিজয়ওয়ারা ও আশপাশের এলাকায় জমায়েতের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। পুলিশ যেন তাঁর মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ না করে। কিন্তু লোকেশকেও গৃহবন্দি করা হয়। অন্ধ্র পুলিশের ডিজি ডি গৌতম সাওয়াং জানিয়েছেন, নায়ডু পালনাড়ু এলাকায় পৌঁছলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারত। সে জন্যই তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।
চন্দ্রবাবুর দলের ‘মিথ্যে অভিযোগ’কে সামনে নিয়ে আসতে পালনাড়ুতে আজই বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল জগন্মোহনের দল। তাদের সমর্থকদের উপরেই হামলা করা হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ এনেছে তারা। কিন্তু গুন্টুর জেলা প্রশাসন শাসক দলের সেই কর্মসূচিরও অনুমতি দেয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy