জঙ্গল থেকে গ্রামে ঢুকে মানুষ মারল চিতাবাঘ। শনিবার ধুবুরি জেলার তামারহাট থানার জঙ্গল লাগোয়া হাতিদুরা-মুসলমানপাড়া গ্রামের এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ১১ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বনকর্তাদের অনুমান, খাবারে খোঁজেই পাশের আলকঝারি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে নদী পার হয়ে চিতাবাঘটি গ্রামে ঢুকে পড়ে।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ গ্রামের বাসিন্দা ফয়জল আলি খেতে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় হঠাৎই পাশের একটি বাঁশঝাড় থেকে তার উপর লাফিয়ে পড়ে প্রায় চার ফুট লম্বা চিতাবাঘটি। ফয়জলের গলা কামড়ে ধরে বাঁশঝাড়ের দিয়ে টেনে নিয়ে যেতে থাকে বাঘটি। ফয়জলের আর্তচিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা এসে লাঠিসোটা চিতাবাঘটিকে তাড়া করলে সে বাঁশঝাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ফয়জল।
এই খবর চাউর হতেই প্রায় হাজারখানেক গ্রামবাসী লাঠিসোটা এবং ধারাল অস্ত্র নিয়ে চিতাবাঘটির ওপর চড়াও হন। তখনই আবার বেরিয়ে আরও ১১ জন গ্রামবাসীকে জখম করে সেটি ফের ওই বাঁশঝাড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে। সাতসকালে এই ঘটনায় গোটা গ্রামে আতঙ্ক ছড়ায়। আহতদেরকে ধুবুরি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার জেরে বন দফতরের উপরে ক্ষুব্ধ গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, চিতাবাঘটিকে দেখেই গ্রামবাসীরা বন দফতর ও পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। কিন্তু বনরক্ষীরা প্রায় তিন ঘণ্টা বাদে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। কিন্তু ঘুমপাড়ানি গুলি না থাকায় বনরক্ষীরা বাঘটিকে ধরতে পারেনি। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, প্রস্তুত হয়ে দ্রুত বনকর্মীরা এলে এতজনকে আহত হতে হত না। ধুবুরির ডিএফও আব্দুল সফুর তালুকদার বলেন, “ঘুমপাড়ানি গুলি চেয়ে গুয়াহাটিতে অসমের মুখ্য বনপালের দফতরে খবর দেওয়া হয়েছে। দ্রুত চিতাবাঘটিকে ধরা যাবে বলে আশা করছি। জেলা পুলিশ এবং সিআরপিএফ-র একটি বিশাল দল এলাকা ঘিরে রেখেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy