কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক মেঘালয়ের কয়লা খনিগুলিকে মাইনস অ্যান্ড মিনারেলস (ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যাক্ট, ১৯৫৭ এবং কোল মাইনস অ্যাক্ট (ন্যাশনালাইজেশন) ১৯৭৩-এর আওতার বাইরে রাখতে সম্মতি দিয়েছে। ফলে এ বার কয়লা ও লিগনাইটের মালিকানা জমির মালিকরাই পাবেন। খনি সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের অধিকারও একক ভাবে পাবে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টকেও জানানো হয়েছে।
জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনাল ২০১৪ সাল থেকে মেঘালয়ে কয়লা তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। রাজ্য সরকারও এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট খনি নীতি নিতে পারেনি। তফসিলভুক্ত এলাকা আইনের অধীনে রাজ্যের জমির ব্যক্তিগত মালিকানা জনজাতিদের হাতে। মাটির তলায় থাকা খনিজের অধিকারও তাঁদের। কিন্তু এই আইন কেন্দ্রীয় আইন দু’টির মধ্যে পরষ্পর বিরোধ থাকায় বিষয়টি নিয়ে জটিলতা ছিল।
কয়লা মেঘালয়ের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি। ২০১৫ সালে তৎকালীন মুকুল সাংমা সরকার কেন্দ্রীয় আইনের আওতা থেকে রাজ্যের কয়লা খনিকে মুক্ত করার আর্জি জানাতে সর্বসম্মত প্রস্তাব নিয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা তুলতে দিল্লিতে বিস্তর দরবারও করেন মুকুল। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন পশ্চিম জয়ন্তীয়া পাহাড়ের এল লালু। আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টে খনি সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy