৪৫০টির মধ্যে ১০০টিরও বেশি সিসিটিভি কাজ করে না। সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিওরিটি ফোর্স) জওয়ানদের জন্য বুলেটপ্রুফ হেলমেট বা জ্যাকেটের ব্যবস্থাও নেই। নিরাপত্তার এমন অবস্থা খোদ সংসদেই। বুধবার লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন কেন্দ্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব আর কে সিংহ, মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার সৎপাল সিংহ এবং রাজস্থানের প্রাক্তন ডিজিপি হরিশচন্দ্র মিনার সংসদীয় কমিটি। নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটিটির সেই রিপোর্টেই ফুটে উঠেছে সংসদের নিরাপত্তার এই বেহাল দশা।
সংসদ সূত্রের খবর, রিপোর্টটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংসদের ১২টি গেটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার উপরে নজর দিতে হবে। প্রতিটি গেটে বিস্ফোরক সন্ধানকারী যন্ত্রের পাশাপাশি বসাতে হবে ইউভিএসএস (আন্ডার ভেহিকল স্ক্যানিং সিস্টেম) যন্ত্রও। বাড়াতে হবে পুলিশ কুকুরের সংখ্যাও। নিরাপত্তা রক্ষীদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার ব্যবস্থা পড়ে রয়েছে মান্ধাতার আমলে। তারও পরিবর্তন দরকার।
২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সংসদে হামলা চালিয়েছিল পাঁচ জন লস্কর জঙ্গি। ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ন’জন। তাঁদের মধ্যে ছ’জন ছিলেন দিল্লি পুলিশের কর্মী, দু’জন সংসদ নিরাপত্তা রক্ষী। এই ঘটনার প্রায় এক বছর পরে আফজল গুরু-সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে ফাঁসি হয় আফজল গুরুর। সংসদে হামলার পরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ করে ঢেলে সাজা হয়েছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এর পরে ২০১৪ সালের অগস্ট মাসে সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এবং তাকে আরও জোরদার করার পরামর্শ দিতে এই কমিটি তৈরি করা হয়েছিল।
সংসদীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রাজীবপ্রতাপ রুডিকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সংসদে যথেষ্ট নিরাপত্তা রয়েছে। সাংসদদের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে জওয়ানেরা প্রাণ পর্যন্ত দিয়েছেন। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রয়োজন রয়েছে তা আমরা জানি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy