Advertisement
১৯ মে ২০২৪

মেঘালয় দখলের ছক বিজেপির, অভিযোগ কংগ্রেসের

অরুণাচলে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করতে গিয়ে মুখ পুড়েছিল বিজেপির। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেখানে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। কিন্তু গেরুয়া বাহিনী যে কংগ্রেসমুক্ত উত্তর-পূর্ব গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া ছাড়েনি, তার প্রমাণ মিলল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৫৩
Share: Save:

অরুণাচলে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করতে গিয়ে মুখ পুড়েছিল বিজেপির। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেখানে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। কিন্তু গেরুয়া বাহিনী যে কংগ্রেসমুক্ত উত্তর-পূর্ব গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া ছাড়েনি, তার প্রমাণ মিলল।

অরুণাচলেরই কায়দায় স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তুলে বিরোধী ও কংগ্রেসের বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে মেঘালয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা করছে বিজেপি বলে কংগ্রেস নেতাদের একাংশের অভিযোগ।

এ নিয়ে দ্বিতীয় বার মেঘালয়ের স্পিকার আবু তাহের মণ্ডলকে অপসারণের প্রস্তাব দিল মেঘালয়ের বিরোধীরা। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু বিধানসভা অধিবেশনে স্পিকারকে অপসারণের বিষয়টি উত্থাপন করতে ও স্পিকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে বিধানসভা সচিবের কাছে চিঠি দেন এনপিপি বিধায়ক জেমস সাংমা। বিরোধী সূত্রে খবর, স্পিকার নিশানা হলেও তাঁদের আসল লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমাকে সরানো।

সম্প্রতি মুকুল দুই মন্ত্রীকে সরিয়ে নতুন দু’জনকে মন্ত্রিসভায় সামিল করলেও বিদ্রোহ কমেনি। অপসারিত উপমুখ্যমন্ত্রী রোয়াল লিংডো জানান, মুকুলের বিরুদ্ধে তিনি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলবেন। রিপোর্ট পাঠাবেন এআইসিসিতে। বিদ্রোহী নেত্রী দেবোরা মারাকের হাত থেকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিত্বও কেড়ে নেওয়া হয়।

কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, অসমে তরুণ গগৈয়ের বিরুদ্ধে এ ভাবেই বিদ্রোহ করা হয়েছিল। অরুণাচলে বিদ্রোহ হয় নাবাম টুকির বিরুদ্ধে। কিন্তু দুই ক্ষেত্রেই এআইসিসি মুখ্যমন্ত্রীদের প্রতি আস্থা রাখে। বিদ্রোহে পাত্তা দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত অসমে ১০ জন বিধায়ক দল ছাড়েন। কংগ্রেসও ক্ষমতাচ্যূত হয়। একই ভাবে অরুণাচলে স্পিকার নাবাম রিবিয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে কংগ্রেসের ২১ জন ও বিজেপির ১১ জন বিধায়ক। অনেক জটিলতার পরে নাবাম টুকি ক্ষমতা হারান। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। পরে বিজেপির সাহায্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন কালিখো পুল। গত মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফেরে। পেমা খান্ডু মুখ্যমন্ত্রী হন।

বিরোধী সূত্রে খবর, ৫ দিনের অধিবেশনে স্পিকার বদলের দাবি জানাবেন। ১২ জন বিধায়ক অনাস্থা প্রস্তাবে সায় দিলেই প্রস্তাব তোলা যাবে। গত বছরও মণ্ডলের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল বিরোধীরা। তখনও কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিল চরমে। কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব আনার আগেই এনসিপি বিধায়ক ও ডেপুটি স্পিকার সানবর সুলাই পদত্যাগ করেন। বিরোধীরা ধ্বনি ভোটে হারে। সেই থেকে ডেপুটি স্পিকারের পদও খালি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Congress meghalaya BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE