Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

আহমেদের জয়ে জোটবদ্ধ কংগ্রেস

কংগ্রেসে আহমেদ পটেল এমন এক দক্ষ ম্যানেজার, যিনি কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার খেলায় পারদর্শী। সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিবও তিনি। তাই তাঁকে যে কোন মূল্যে হারাতে মরিয়া ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

আহমেদ পটেল। পিটিআইয়ের ফাইল চিত্র।

আহমেদ পটেল। পিটিআইয়ের ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৭ ১২:১০
Share: Save:

অন্ধকার সুড়ঙ্গে হঠাৎই আলোর দিশা। খানিকটা যেন পড়ে পাওয়াও বটে!

একের পর এক পরাজয়ের আবহে অমিত শাহকে মাত করে দিয়ে গুজরাত থেকে রাজ্যসভায় আহমেদ পটেলের জিতে আসা— কংগ্রেস শিবিরে এখন নতুন উদ্দীপনা। আহমেদ পটেল নিজেও বলেছেন, ‘‘এই জয় আমার ব্যক্তিগত নয়। রাজ্য প্রশাসনের খোলামেলা শক্তি প্রদর্শন, অর্থবল ও পেশিশক্তির হার হয়েছে এই লড়াইয়ে।’’ বিজেপিকে ভোট দেওয়া গুজরাতের ৮ বিধায়ককে সাসপেন্ডও করল কংগ্রেস। এর মধ্যে শঙ্করসিন বাগেলাও রয়েছেন।

কংগ্রেসে আহমেদ পটেল এমন এক দক্ষ ম্যানেজার, যিনি কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার খেলায় পারদর্শী। সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিবও তিনি। তাই তাঁকে যে কোন মূল্যে হারাতে মরিয়া ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। কংগ্রেস অমিত শাহের ‘যে ভাবে হোক জেতার’ চেষ্টার সমালোচনায় সরব হলেও, বিজেপির যুক্তি— দলের সভাপতির কাছে কোনও নির্বাচনই ছোট নয়। অমিত শাহের মনোভাবই হল যে কোনও লড়াইয়ে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানো। কখনও জয় আসবে, কখনও হারকে মেনে নিতে হবে।

আরও পড়ুন: অপহরণের ধারা জুড়ল, ধৃত বিকাশ

তবে কংগ্রেস শিবির মনে করছে, আহমেদকে হারাতে গিয়ে বিজেপি উল্টে কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধই করে দিয়েছে। সনিয়ার রাজনৈতিক সচিব হলেও, কংগ্রেসের ঘরোয়া রাজনীতিতে আহমেদ পটেল কোনও দিনই রাহুলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন না। কিন্তু গত কাল সেই আহমেদ পটেলকে জেতানোর প্রশ্নে ঝাঁপাতে দ্বিধা করেনি ‘টিম রাহুল’। আহমেদের লড়াইকে দলের মর্যাদার লড়াই ধরে নিয়ে ছোট-বড় সব নেতাই নেমে পড়েন দল তথা নেত্রী সনিয়ার মান বাঁচাতে।

কংগ্রেস শিবিরের আশা— আহমেদের কষ্টার্জিত জয় দলের অন্দরমহলেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। একাংশের মতে— ‘বৃদ্ধতন্ত্র’ হিসাবে ছাপ পেয়ে যে আহমেদ পটেল, জর্নাদন দ্বিবেদী, কমলনাথের মতো নেতারা দূরে সরে যাচ্ছিলেন, তাঁরা ফের কল্কে পেলেন। তাঁরা বলছেন, আগামী দিনে রাহুল গাঁধী যদি এই বৃদ্ধতন্ত্রকে ‘অভিজ্ঞতন্ত্র’-এর মর্যাদা দিয়ে পাশে নিয়ে চলেন, দলের ভালই হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, তেলে-জলে কি মিশ খাবে! রাহুল কি পারবেন প্রবীণদের পাশে নিয়ে এগোতে? নাকি লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশীদের মতো এই নেতাদেরও শেষ পর্যন্ত ঠাঁই হবে মার্গদর্শক-মণ্ডলে?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE