দলত্যাগের সিদ্ধান্ত সংবাদমাধ্যমে ঘোষণা করলেও এখনও ইস্তফাপত্র পাঠাননি কংগ্রেস বিধায়ক হিমন্তবিশ্ব শর্মা। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করা ও সেই দলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণার পর প্রদেশ কংগ্রেস হিমন্তকে শো-কজ নোটিস পাঠিয়ে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ দিকে দল ছাড়ার জন্য হিমন্ত দলীয় নেতৃত্বকে দায়ী করায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্ত বলেন, ‘‘হিমন্ত দল থেকে যা পেয়েছে তা আর কেউ পায়নি। এই দলের দৌলতেই এই জায়গায় পৌঁছেছে হিমন্ত। আমরা উপনির্বাচনের
জন্য তৈরি। এত আদর্শবাদী হলে অবিলম্বে তাঁর বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত।’’
এ দিন দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে রাজীব ভবনে জরুরি বৈঠক করেন অঞ্জনবাবু। তিনি জানান, হিমন্তকে নিয়েও বিজেপি বিধানসভায় ১২টি মতো আসন পাবে। এ দিকে, হিমন্তের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন জাতীয় কর্মকর্তা প্রদ্যোৎ বরা বলেন, ‘‘এক সপ্তাহ আগে সর্বানন্দ সোনোয়াল, সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যরা যাঁকে লুই বার্জার কাণ্ডে জড়িত বলে অভিযুক্ত করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন, তাঁকেই দুর্নীতিমুক্ত শাসনের ডাক দেওয়া মোদী কী ভাবে দলে টেনে নিলেন?’’ হিমন্ত বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন জেনেই পদত্যাগ করেছিলেন বরা। প্রদেশ বিজেপি সভাপতি সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে মনে হয়েছিল হিমন্ত দোষী। আমি নিজে আইনজীবী। লুই বার্জার সংক্রান্ত সব নথিপত্র পড়ে বুঝলাম এই ঘটনায় তিনি জড়িত নন। তাই তাঁকে দলে স্বাগত জানাতে আপত্তি নেই।’’
হিমন্তের ঘনিষ্ঠরা জানান, তাঁকে এআইসিসির আলোচনায় ডাকা হলেও তিনি আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। কমলপুরে কংগ্রেসের মণ্ডল সভাপতি-সহ বহু কংগ্রেস কর্মী এ দিন বিজেপিতে যোগ দেন। হিমন্ত ২৮ অগস্ট সকালে দিল্লি থেকে ফিরে সোজা বিজেপি দফতরে গিয়ে দলে যোগ দেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy