—প্রতীকী ছবি।
আঙুলে রত্ন ধারণ করে ভাগ্য ফেরাতে চেয়েছিলেন। বিশ্বাস ছিল মূল্যবান ওই রত্ন পরলেই খুলবে ভাগ্য। দিন কয়েকের মধ্যেই কোটিপতি হয়ে যাবেন তিনি। তাই ‘স্বর্ণ স্পর্শ’ নামে একটি গ্রহরত্নের দোকানের বিজ্ঞাপন দেখে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি ৮৩ বছরের কায়াদু খানদালে। ভরসা পেয়েছিলেন কাজ না হলে টাকা ফেরত দেওয়ার লোভনীয় শর্তেও। কিন্তু কাজে আসেনি সেই বহুমূল্য রত্ন। কুটো কড়িও জোটেনি তাঁর কপালে। এর পরেই ‘স্বর্ণ স্পর্শ’-এর নামে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন ওই বৃদ্ধ। তিন বছর পর অবশেষে মামলা জিতলেন কায়াদু। আদালতের নির্দেশে ওই গ্রহরত্নের দোকানের কাছ থেকে এ বার ৩ লক্ষ টাকারও বেশি ক্ষতিপূরণ পেতে চলেছেন কায়াদু।
বরাবরই মুম্বইয়ের বাসিন্দা কায়াদুর ইচ্ছা তিনি বিপুল সম্পত্তির মালিক হবেন। কিন্তু সহজে সেই মনোবাঞ্ছা পূরণ হবে কী করে? ভেবে অস্থির বৃদ্ধ একদিন ‘স্বর্ণ স্পর্শ’-এর বিজ্ঞাপন দেখেন। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল এখানকার রত্ন ধারণ করলে প্রচুর সম্পত্তির মালিক হবেন। যদি তা না হয়, টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলেও আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল সংস্থার তরফে।
আরও পড়ুন: ভিসা ছাড়া কাতারে যেতে পারবেন ভারতীয়রাও!
২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পূর্ব দাদরের ‘স্বর্ণ স্পর্শ’-এর জেমস ও জুয়েলারি প্রাইভেট লিমিটেড থেকে একটি নীলম কিনেছিলেন কায়াদু। কিন্তু কয়েক দিন পরেই ওই দোকানের অন্য দুই জ্যোতিষী কুমারী প্রাচি এবং শাশিকান্ত পাণ্ডে তাঁকে বলেন, নীলম ওই বৃদ্ধের জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক নয়। সেই সময় প্রাচি ও শশিকান্তের পরামর্শে ফের প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ করে একটি পোখরাজ ও মাণিক কেনেন তিনি।
আরও পড়ুন: ওয়াগন থেকে টিকিট, এ অন্য রেল ডাকাতি
ওই দুই জ্যোতিষী কায়াদুকে বলেন, তিন মাসের মধ্যে কোটিপতি না হলে তাঁর সমস্ত টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু তিন মাস পরেও যখন ভাগ্যে কোনও বদল এল না, তখন ওই দুই জ্যোতিষীর কাছে টাকা ফেরত চাইতে যান কায়াদু। কিন্তু সেই সময় টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন প্রাচি ও শশিকান্ত। এরপরেই ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে অভিযোগ জানান কায়াদু। ২০১৪-র মে মাসে মামলা দায়ের করেন ওই বৃদ্ধ।
আরও পড়ুন: এমএ করেও ঘর মোছার চাকরি, আত্মঘাতী যুবক
কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বিকার করেন। তাদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয়ে জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি প্রাইভেট লিমিটেডকে তিন লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে দক্ষিণ মুম্বইয়ের কনজিউমার ডিসপিউট রিড্রেসাল ফোরাম। পাশাপাশি মামলার খরচ হিসাবে কায়াদুকে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy