সংক্রমিত জেলাগুলিকে গণ্ডিতে বেঁধে দেওয়া, প্রচুর সংখ্যায় পরীক্ষা ও কড়া ভাবে লকডাউন পালনের ফলে অনেকাংশেই করোনা সংক্রমণ রুখে দিতে পারল কেরল সরকার। এই বাম সরকারের দাবি, নতুন করে সংক্রমণ কমছে। বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা। গত দু’দিনে গড়ে দুই-তিন জন নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ওই রাজ্যে। ফলে গোটা দেশে যখন সংক্রমণ বাড়ছে, তখন উল্টো পথে হাঁটছে পিনারাই বিজয়নের কেরল।
ভারতে প্রথম করোনা সংক্রমিত রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল কেরলে। রাজ্যের ৭টি জেলাকে হটস্পট চিহ্নিত করে শুরুতেই সেখানকার সব মানুষকে অন্তরিন করে প্রশাসন। বন্ধ করা হয় সব ধর্মীয় জমায়েত। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা বলেন, সরকারের মূল লক্ষ্যই ছিল সর্বার্থে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য ব্লক পর্যায় পর্যন্ত খোলা হয় কন্ট্রোল রুম। তাই পরিসংখ্যান বলছে, ২৬ মার্চ মহারাষ্ট্র ও কেরলে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১২২ ও ১২০জন। তিন সপ্তাহ পরে কেরলে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৭৫। সেখানে মহারাষ্ট্রের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮৯৫-এ।
এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার নমুনা কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছে কেরল, যা সব চেয়ে বেশি। ফলে আজ গোটা দেশে সংক্রমণ বাড়লেও, আক্রান্ত কমছে কেরলে। আক্রান্তদের দ্রুত চিহ্নিত করা, জনে-জনে পরীক্ষা করা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চালানো ও কোয়রান্টিনে থাকা— করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই পথে এগিয়ে ফল পেয়েছে উত্তরপ্রদেশের আগরা। গোটা দেশের প্রতিটি রাজ্যকে তাই ‘আগরা মডেল’ অনুসরণ করার পরামর্শ দিল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: কেন্দ্র কিট দিচ্ছে না, জমছে নালিশ
আরও পড়ুন: হাসপাতালে করোনা, আবাসনে ঢুকতে বাধা স্বাস্থ্যকর্মীদের