প্রতীকী ছবি
করোনার ডেল্টা ও আলফা স্ট্রেনকে কাবু করতে সক্ষম ভারত বায়োটেকের প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন। এক গবেষণার পরে এই কথা জানায় আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ)। তবে ডেল্টা প্লাস স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিন কতটা কার্যকর, সেই পরীক্ষা এখনও চলছে।
এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর ছাড়পত্র পায়নি কোভ্যাক্সিন। ফলে বিদেশে যেতে ইচ্ছুকরা কোভ্যাক্সিনের দু’টি ডোজ় নিয়েও বেকায়দায়। আবার ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সির অনুমোদিত প্রতিষেধকের তালিকায় কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ডেরও জায়গা হয়নি। ফলে কোভিশিল্ড নেওয়া থাকলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে অনেকের। বিশেষ সূত্র উদ্ধৃত করে একটি চ্যানেলের দাবি, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বার্তা দিয়েছে, তারা কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিক। অন্যথায় তাদের দেওয়া টিকার শংসাপত্রকে গ্রাহ্য করবে না ভারত। যার অর্থ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি থেকে কেউ ভারতে এলে তাঁকে কোয়রান্টিনে থাকতে হবে। ভারত বায়োটেক সূত্রের বক্তব্য, কোভ্যাক্সিনের বিষয়ে অতিরিক্ত তথ্য হু-এর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। কোভ্যাক্সিন জুলাইয়ের মধ্যেই হু-এর তালিকায় আসবে বলে আশা।
এনআইএইচ জানিয়েছে, কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ভিত্তিতে বলা যায়, টিকা নিরাপদ ও ভাইরাসকে রুখতে সক্ষম। কোভ্যাক্সিন-গ্রহীতাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে তাদের বক্তব্য, এই টিকা যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে, তা করোনার বি.১.১.৭ (আলফা) এবং বি.১.৬১৭ (ডেল্টা) স্ট্রেনকে রুখতে পারে। ‘ভ্যারিয়্যান্ট অব কনসার্ন’-এর তালিকায় সবথেকে শক্তিশালী স্ট্রেন ডেল্টা ভারতে ছড়িয়েছে। কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অন্তর্বর্তী রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ওই টিকার কার্যকারিতা ৭০%-এরও বেশি। কিছু দিনের মধ্যে সেই রিপোর্টও প্রকাশিত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy