Advertisement
০৫ মে ২০২৪
coronavirus

আক্রান্তদের ৯০ শতাংশই বহুতলবাসী! মুম্বইয়ের করোনা-চিত্রে চমক দিচ্ছে ধারাভি বস্তি

বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফ থেকে বলা হয়েছে, মার্চ মাসের ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে মুম্বইয়ে ১৭০ শতাংশ কন্টেনমেন্ট জোন বৃদ্ধি পেয়েছে।

করোনা নিয়ে চিন্তায় মহারাষ্ট্র প্রশাসন।

করোনা নিয়ে চিন্তায় মহারাষ্ট্র প্রশাসন। ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২১ ১৫:৫৫
Share: Save:

বাড়ছে সংক্রমণ। বাড়ছে কন্টেনমেন্ট জোন। কোথাও কার্যকর করা হচ্ছে রাত্রিকালীন কার্ফু। কোথাও সাময়িক লকডাউন। সব মিলিয়ে চিন্তায় মহারাষ্ট্র সরকার। শনিবারই মীরা ভয়ন্দর পুর এলাকায় নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই এলাকার ‘হটস্পট’ এলাকাগুলিতে লকডাউন চলবে বলে প্রশাসনের তরফ থেকে খবর। প্রশাসন ইতিমধ্যে এই পুর এলাকায় পাঁচটি ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করেছে। কিন্তু তার মধ্যেও ভরসা এই যে মুম্বইয়ের বস্তিতে এখনও তেমন করে সংক্রমণ ধরা পড়েনি, যতটা ধরা পড়েছে বহুতলগুলিতে।

একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি ছিলেন মুম্বইয়ের বহুতলের বাসিন্দা। মার্চ মাসে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বেড়ে যাওয়ার আগে মূলত মুম্বই ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বহুতলেই সংক্রমণ সীমাবদ্ধ ছিল। এখন কয়েকটি বস্তি এলাকার নির্দিষ্ট অংশে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেলেও তেমন চোখে পড়ার মতো সংক্রমণ ঘটেনি। এর আগে ধারাভি বস্তিতে করোনার সংক্রমণ নিয়ে নাজেহাল হতে হয়েছিল প্রশাসনকে। এশিয়ার এই বৃহত্তম বস্তি ধারাভিতে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের বাস । জনঘনত্বও অত্যাধিক বেশি। সেই ধারাভি এখন অনেকটাই সুরক্ষিত। তবে আগামী দিনে নতুন করে শহরের বস্তিতে করোনা সংক্রমণের হার বাড়লে প্রশাসনের চ্যালেঞ্জ আরও বৃদ্ধি পাবে, মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

মার্চ মাস থেকে দেখা যাচ্ছে, সামান্য হারে নিম্নবিত্ত মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমিত হতে শুরু করেছে। বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফ থেকে এক আধিকারিক নাম না করে বলেছেন, ‘‘এখন পর্যন্ত বস্তি এলাকা থেকে বিপুল সংক্রমণের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগের থেকে সংক্রমণ সামান্য বেড়েছে। তবে কয়েকটি বস্তি এলাকাতেই আপাতত সংক্রমণ সীমাবদ্ধ আছে। সেখান থেকেই রোগীরা আসছেন। সর্বত্র এর প্রকোপ ছড়ায়নি।’’

বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফ থেকে বলা হয়েছে, মার্চ মাসের ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে মুম্বইয়ে ১৭০ শতাংশ কন্টেনমেন্ট জোন বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার জন্য অবরুদ্ধ বাড়ির সংখ্যা বেড়েছে ৬৬.৪২ শতাংশ। সংখ্যার বিচারে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে ১০ থেকে ২৭ হয়েছে। করোনার কারণে বন্ধ বা ‘সিলড’ বাড়ির সংখ্যা ১৩৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ২২৮।

তা হলে কি লকডাউনের পথে হাঁটতে হতে পারে মহারাষ্ট্র সরকারকে? সেই সম্ভাবনা প্রাথমিক ভাবে উড়িয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দফতর থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে, অর্থনীতির গতি ঠিক রাখতে আপাতত আর লকডাউনের পথে হাঁটবে না সরকার। তবে একই সঙ্গে আবেদন করা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mumbai coronavirus COVID 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE