Advertisement
২৬ মার্চ ২০২৩
প্লাস্টিক-অডিটের নির্দেশ
Flipkart

জরিমানা হতে পারে আমাজ়ন ও ফ্লিপকার্টের

ভারতে অনলাইন ব্যবসার সবচেয়ে বড় এই দু’টি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে গ্রিন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে এগারো ক্লাসের ছাত্র আদিত্য দুবে, অবশ্যই তার আইনি অভিভাবকের মাধ্যমে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৩১
Share: Save:

দিল্লির এক স্কুলছাত্রের আবেদনে সাড়া দিয়ে, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (এনজিটি) জানিয়ে দিল, অকারণে অতিরিক্ত প্লাস্টিক ব্যবহারের জন্য আমাজ়ন ও ফ্লিপকার্টের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করতে পারে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি)।

Advertisement

ভারতে অনলাইন ব্যবসার সবচেয়ে বড় এই দু’টি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে গ্রিন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে এগারো ক্লাসের ছাত্র আদিত্য দুবে, অবশ্যই তার আইনি অভিভাবকের মাধ্যমে। তার বক্তব্য, এই ই-কমার্স সংস্থাগুলি দায়িত্বহীন ভাবে ও অকারণে অতিরিক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করে দূষণ ঘটাচ্ছে। বিভিন্ন পণ্যের প্যাকেজিংয়ে বিস্তর প্লাস্টিক শিট, বাবল র‌্যাপ ব্যবহার করছে। ভঙ্গুর নয়, এমন জিনিসের জন্যও একাধিক কার্ডবোর্ডের বাক্স ব্যবহার হচ্ছে। এই অভিযোগের সূত্রে এনজিটি কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে বলেছে, পরিবেশ-সক্রান্ত নিয়মকানুন মানা হচ্ছে কি না, তার অডিট করতে হবে। আইন ভাঙা হয়েছে দেখলে জরিমানা আদায় করতে হবে আমাজ়ন ও ফ্লিপকার্টের কাছ থেকে।

বিষয়টি নিয়ে আগামী ১৪ অক্টোবর গ্রিন বেঞ্চে ফের শুনানি হবে। তার আগেই শনিবারের এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সিপিসিবি-কে সে বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। কাগজে নয়, ই-মেলে। গ্রিন বেঞ্চ পরবর্তী শুনানিতে সিপিসিবি-র সদস্য সচিবকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিতে বলেছে।

আরও পড়ুন: প্রার্থীর অপরাধের ‘ফলাও’ প্রচারে সময় বাঁধল কমিশন

Advertisement

স্কুল-পড়ুয়া আদিত্যের অভিযোগ, সংস্থা দু’টি অকারণে পণ্যের চেয়ে আকারে বিস্তর বড় বাক্স ব্যবহার করে। সংস্থাগুলির ও প্যাকেজিং বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আনা-নেওয়ার সময় যাতে ধাক্কায় বা অন্য ভাবে পণ্যের ক্ষতি না-হয়, তার জন্যই এটা করা হয়ে থাকে। গ্রিন বেঞ্চের মতে, সমস্যা অন্যত্র।

প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন (২০১৬) আনুযায়ী, ই-বাণিজ্য সংস্থাগুলির ব্যবসার কারণে যে প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়, তা ফিরিয়ে নেওয়ার একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার দায়িত্বও তাদের। বাস্তবে এর কিছুই হয় না। ক্রেতা তাঁর পণ্যটি খুলে নিয়ে যাবতীয় প্লাস্টিক পাউচ, স্যাশে, বাক্স— সব ফেলে দেন। যা দূষণ বাড়িয়েই চলেছে। গ্রিন বেঞ্চ বলেছে, সিপিসিবি এ বিষয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে কেন এই আইন প্রয়োগে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, সে কথা একাধিক বার বলা হয়েছে। বলা হয়েছে নজরদারির অভাবের কথাও। কিন্তু কঠোর ব্যবস্থাগুলি কী, সে বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.