গত এক বছরে তেরো বার হয়ে গিয়েছে। আজ ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার গৌতম বাম্বেওয়ালা পাকিস্তানের বিদেশসচিবের সঙ্গে দেখা করে কুলভূষণ যাদবকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য চোদ্দতম আবেদনটি করলেন। পাশাপাশি কুলভূষণের ফাঁসির রায় এবং চার্জশিটও পাক সরকারের কাছ থেকে দাবি করেছে ভারত।
ভারতীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন যে, কুলভূষণকে ছাড়িয়ে আনার জন্য প্রথার বাইরে গিযেও চেষ্টা করা হবে। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সংসদে বিবৃতিও দিয়েছেন। আজ গৌতম বাম্বেওয়ালা বলেন, ‘‘ওরা এর আগে গত এক বছরে আমাদের ১৩ বারের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। আজ আবারও পাক বিদেশসচিবকে বলেছি, আমাদের সঙ্গে গৌতম কুলভূষণের যোগাযোগ করতে দেওয়া হোক, যাতে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে পারি।’’
ভারতের এই আক্রমণাত্মক মনোভাবের জবাবে কিন্তু এখনও সুর নরম করেনি ইসলামাবাদ। আজ পাক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ পাল্টা অভিযোগ করে প্রশ্ন তুলেছেন, কুলভূষণ যদি নির্দোষই হবেন, তা হলে তাঁর দু’টি পাসপোর্ট কেন? যার একটি হিন্দু নামে, অন্যটি মুসলিম। সরতাজের সওয়াল, ‘‘কুলভূষণকে আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি পাকিস্তান-বিরোধী কার্যকলাপ করেছেন, আমাদের দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে। আগামী ৪০ দিনের মধ্যে তিনি সুপ্রিম কোর্টে সামরিক কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারেন। আমাদের সেনাপ্রধানের কাছে প্রাণভিক্ষার জন্য আবেদনও করতে পারেন।’’ পাশাপাশি লাহৌর হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন এ দিনই রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, কোনও আইনজীবী কুলভূষণের হয়ে মামলা লড়লে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: তালিবানি বিপদ বোঝাচ্ছে দিল্লি
পাকিস্তানের এমন কড়া মনোভাবের পাল্টা জবাব দেওয়ার চাপ উঠছে ভারতের অন্দরেও। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জি ডি বক্সি সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, কুলভূষণ আদৌ বেঁচে আছেন কি না, সে ব্যাপারে জানতে পাক আদালতে আবেদন জানাক দিল্লি। তাঁর অভিযোগ, পাকিস্তান কুলভূষণকে অত্যাচার করে খুন করার পরে এখন সেটা আড়াল করতেই বিচারের নাটক করছে!